সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় গুরুতর কেউ আহত হননি। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সোয়া এগারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা মিছিল নিয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ ওই মিছিলটি প- করে দেয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার বৃষ্টি শুরু হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা জজ কোর্টের সামনে থেকে মিছিল বার করে। মিছিলটি খুলনা রোড মোড় এলাকায় যেয়ে কিছুক্ষল অবস্থান শেষে নারকেলতলা মোড় এলাকায় যাওয়ার পথে সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে সৈয়দ হাসান ইমাম, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালামসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল লক্ষ্য করে স্লোগান দেয় ও লাঠি ছোঁড়ে। এসময় কোটা বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা বখতিয়ার ও নয়নের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকারিদের একটি গ্রুপ লাটি-সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংগঠিত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর মুহু মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্র সংহতি পরিষদ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা খুলনা রোডের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সোয়া ১টায় আহবায়ক আল ইমরান বৃহষ্পতিবার আবারো যে কোন সময় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা বলেতাদের কর্মসুচির সমাপ্তি ঘোষণা করে।
এবিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমম্বয়ক আল ইমরান জানান,‘‘ জেলা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নারকেলতলা এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেই। ’’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমান জানান,‘‘ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করুক,এটা অন্য বিষয়। কিন্তু এই আন্দোলনে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির ঢুকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র। ’’
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক বিন আব্দুল আজিজ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষের কেউ এখন মাঠে নেই।
Leave a Reply