এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলার লামিন ইয়ামাল। আগামীকালই যিনি পা দেবেন ১৭তম বসন্তে। ১৬ বছর বয়সী বার্সেলোনার এই রাইট উইঙ্গার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ ফর্মে আছেন। বলা যায় বর্তমান সময়ে স্পেনের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। তার পায়ের জাদুতে স্পেন জাতীয় দলে ২০০৮-১২ স্বর্ণযুগ ফিরে আসছে বলেও মনে করছেন। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার ইউরোর সেমিফাইনালে ২৫ গজ দূর থেকে স্প্যানিশ এই কিশোরের গোল নিয়ে পুরো ফুটবল দুনিয়ায় মাতামাতি চলছে। ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভার অধিকারী ইয়ামালকে আগামীর লিওনেল মেসি মনে করছেন বোদ্ধারা।
এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ১৭ বছর আগের একটি ছবি। যেখানে মেসির সঙ্গে রয়েছে শিশু ইয়ামালের ছবি। লামিনে ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউয়ি গত সপ্তাহে ইন্সটাগ্রামে এই ছবিগুলো পোস্ট করেন, সঙ্গে লেখেন ‘দ্য বিগিনিং অব টু লেজেন্ডস’। অর্থাৎ, ‘দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু।’ ছবিতে দেখা যায়, প্লাস্টিকের একটি বড় বাথটাবের মধ্যে ছয় মাস বয়সী শিশু ইয়ামাল। লিওনেল মেসি সেই বাথটাবের পাশে আয়েশ করে শিশু ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছেন। অনেকেই বলছে, তাহলে কি মেসির ‘ছোঁয়া’তেই স্বপ্নের ফুটবল খেলছে ইয়ামাল?
তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে উল্টো কথা বলছেন ইয়ামালের বাবা। তিনি বলেন, ‘এগুলো জীবনের কাকতালীয় ঘটনা। লিও থেকে লামিনের আশীর্বাদ? বা লামিন থেকে সিংহ রাশিতে। হয়তো লামিনই মেসিকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আমার কাছে আমার ছেলেই সেরা।’
সেই সঙ্গে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন লা মাসিয়া আর স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনকে। তিনি জানান, ‘লামিনে সবার থেকে আলাদা। ও অনেকের আগেই পরিণত হয়ে গিয়েছে।’
এবারের ইউরোয় ছেলের পারফরম্যান্স নিয়ে ইয়ামালের বাবা বলেছেন, ‘আর সবার মতো আমিও আনন্দ নিয়ে উপভোগ করছি। আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং স্পেনের সব খেলোয়াড়ের জন্য গর্ব লাগছে। আমি জানতাম সে তারকা হয়ে উঠবে। বাবারা এমনই মনে করেন এবং যেকোনো বাবাই চান তার সন্তান সেরা হয়ে উঠুক। আমি তার জীবনে সেরাটাই কামনা করি ও আশা করি যেন ইউরো জিততে পারে, তাতে আমরাও চ্যাম্পিয়ন হব।’
Leave a Reply