আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বিল সমুহের জলাবদ্ধতা দূরের পদক্ষেপ না নিলে এবছর ফসল উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব এবং মাছ চাষের ঘের একাকার হয়ে মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এলাকার সমস্যার কথা জানতে ও প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে খোজ খবর নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নদী খনন কাজ, স্লুইস গেটের অবস্থা ও ঝুঁকিতে থাকা বিল সমুহ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার এসও জহুরুল হক বোর্ডের অন্যদের ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলুকে সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে উত্তর চাপড়ার কাছে নদীতে দেওয়া বাঁধের অবস্থা দেখেন। এসময় এই বাঁধের উত্তর পাশে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে এসও জহুরুল হক এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে বাঁধে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্থ করেন।
ইউনিয়নের বুধহাটা, শ্বেতপুর, নওয়াপাড়া, বেউলা, গাজীরমাঠ, পদ্ম বেউলা, চিলেডাঙ্গা, মহেশ্বরকাটি, নারানপুর, ঝাটিরকাটা গ্রাম সম্পর্ণ ভাবে এবং চাপড়া, পাইথালী, কুন্দুড়িয়া, হাজীপুরসহ আশপাশের গ্রাম ও বিল সমূহের বৃষ্টির পানি আংশিক ভাবে বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট দিয়ে নিস্কাশন হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর অন্যান্য গ্রাম ও বিল এবং ফিংড়ী ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের পানির বড় অংশ এই গেট দিয়ে নিস্কাশিত হয়ে আসছে। ফলে বুধহাটা উত্তরাংশের বিল সমুহ বাইরের পানির চাপে পানির পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ায় ফসল চাষাবাদ সীমাহীন সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। সম্প্রতি দেখা দিয়েছে আরও একটি প্রতিবন্ধকতা। বেতনা নদী খনন কাজ শুরু করায় নদীতে নওয়াপাড়া ও চাপড়ায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদী বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে এবছর বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট সম্পর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে ইতিমধ্যে বিল সমুহে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আরও কিছুদিন চললে পুরা বিলগুলুতে এবছর ধান চাষ সম্ভব হবেনা। ক্রমান্বয়ে মাছের ঘেরগুলোও পানির চাপে নিমজ্জিত হবে ও মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় মাছ চাষীরা ঘের বন্ধ করবে কিনা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার এসও জহুরুল হক বোর্ডের অন্যদের ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলুকে সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে উত্তর চাপড়ার কাছে নদীতে দেওয়া বাঁধের অবস্থা দেখেন। এসময় এই বাঁধের উত্তর পাশে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে এসও জহুরুল হক এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে বাঁধে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্থ করেন।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, এলাকার কৃষক না বাঁচলে ইউনিয়নবাসী বাঁচবে না। পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। বাঁধে পাইপ বসিয়ে গেট চালু করার ব্যাপারে তাদের সাথে কথা হয়েছে। কর্মকর্তারাও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি রিয়ে ইতিবিচক ভাবে ভাবছেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply