কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা 


জুলাই ১০ ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক---
Spread the love

গোল, জয়, কর্তৃত্ব; কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার খেলায় সবই ছিল। শুধু গোল পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি। কানাডার বিপক্ষে গোল খরা কাটল দেশের জার্সিতে টানা চার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে থাকা এই তারকার। হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে লিও’র গোলে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপার আরেকটি ফাইনালে পা রেখেছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২২ মিনিটে প্রথম লিড নেয় গত আসরের কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা। মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের বাড়িয়ে দেওয়া পাসে শট নিয়ে বল জালে পাঠান শুরুর একাদশে ফেরা হুলিয়ান আলভারেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে তার জায়গায় শুরুতে খেলেছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা লওতারো মার্টিনেজ।

দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল পায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করেন লিওনেল মেসি। তাকে গোল করান এনজো ফার্নান্দেজ। আর্জেন্টিনার তোলা আক্রমণ কানাডার বক্স থেকে ফিরে বাইরে থাকা এনেজোর কাছে আসে। জোরের ওপর ভলি নেন চেলসিতে খেলা তরুণ এই মিডফিল্ডার। মেসি ওই শটে আলতো করে পা ছুঁইয়ে জালে পাঠিয়ে দেন।

এবারের কোপা আমেরিকায় মেসির এটি প্রথম গোল। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০৯ গোল পেয়েছেন তিনি। কোপা আমেরিকায় এটি তার ১৪তম গোল। গোল খরার কাটিয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন লিও। ২০০৭ সাল থেকে অংশ নেওয়া কোপা আমেরিকায় সাত আসরের ছয়টিতে গোল পেলেন তিনি।

আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের লিড নেওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় কানাডা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণ লাইনে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো ও লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজের দেয়াল আটকে যায় তারা। দেয়াল টপকে নয়টি আক্রমণ করেছে প্রথমবার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে খেলা কানাডা। যার তিনটি সুযোগ ও দুটি শট থেকে গোলও পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দুর্দান্ত দক্ষতায় দুটি শটই ফিরিয়ে দেন।

কানাডার আক্রমণের সুযোগ নিয়ে পরে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করার সুযোগ পেয়েও তা হারিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। তাছাড়া জয়ের ব্যবধান বড় হতে পারত। কোপা আমেরিকার অন্য সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার সকালে মুখোমুখি হবে দারুণ ছন্দে থাকা উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন