1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত📰পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি📰জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

দেশে জ্বালানি সুবিচারের দাবিতে ক্যাবের নাগরিক সংলাপ প্রতিকারের আহবান বিশিষ্টজনের

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ৪৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংদেশের বর্তমান জ্বালানি কাঠামোর দুর্বলতা তুলে ধরে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সিরডাপ’র এ টি এম শামসুল হক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে এ আহবান জানান  তারা।

‘ক্যাব প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রুপান্তর নীতি ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা জাতীয় সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন ২০১০ দ্বারা জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ৩৪ ধারা পরিবর্তন দ্বারা গণশুনানি রোধ করে মূল্যহার নির্ধারণের ক্ষমতা সরকার নিজের হাতে নেওয়ায় সরবরাহ ব্যয় ও মূল্যহার উভয়ই অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ন্যূনতম ব্যয়ে জ্বালানি সরবরাহ ও ন্যায্য মূল্যহারে ভোক্তার জ্বালানি প্রাপ্যতা বিপন্ন এবং ভোক্তা জ্বালানি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।  এই পরিস্থিতি জনগণকে চরম জ্বালানি দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে

তিনি আরও বলেন, সরকারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কারণে জ্বালানি খাতে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ চেইনের পুরোটাই এককভাবে নিজের হাতে থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতির পরিচালক। আবার সরকারের দুর্নীতির অংশীদার হিসেবে যখন ব্যক্তি মালিকানাখাত এগিয়ে আসে সেখানেও কার্যত কোন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তার অংশগ্রহণ হয় না, হয় লেনদেন ও আতাতের মাধ্যমে। ফলে একচেটিয়াবাদের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রাইভেট সেক্টর ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেটওয়ার্কের একাধিক গবেষণা ও সমীক্ষায় এই সত্যিটি উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, একসময় বলতাম (বিএনপি আমলে) – খাম্বা তৈরি হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ নাই। আর এখন বলি, (আওয়ামী লীগ সরকার আমলে) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি নেই। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্যের নামে বিল দিতে হয়।  যেমন বাংলাদেশের সামিটসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই এ সুবিধা নিচ্ছে। যদিও এইভাবে সামিট এখন সিঙ্গাপুরের (আন্তর্জাতিক) প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, সমস্ত কিছু প্রতিযোগীতামূলক হওয়া দরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে এই জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে, জ্বালানি খাতে বড় অনিয়ম চলছে। এবিষয়ে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্তা নেয়া দরকার।

এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন,  পরিবেশ রক্ষা তথা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের জ্বালানি রুপান্তর করা অতি প্রয়োজনীয়। আর এ ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহার থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেড়িয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের দিকে ঝুকিতে হবে।  এ ক্ষেত্রে সোলার সিস্টেম প্লানিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বাড়াতে হবে। কিন্তু সেইভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা বাড়ানো হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির জন্যে আমাদের পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদের দেশে প্রচুর মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদেরকে জ্বালানি রুপান্তরে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডার্টি এনার্জি (জীবাশ্ম জ্বালানি) থেকে বেড়িয়ে ক্লিন এনার্জির (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) দিকে যেতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।  এই নাগরিক আন্দোলনকে প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই, বাংলাদেশে জ্বালানি সুবিচার হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র সহসভাপতি  স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমরা অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মান করছি। ফলে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে…..। আমাদের কতোটুকু দরকার, আর কতোটুকু তৈরি করবো, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা থাকা দরকার। কিন্তু সেই বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা থাকার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একজন বাংলাদেশ থেকে (সামিট গ্রুপ) অর্থ নিয়ে সিঙ্গাপুরের অর্থের পাহার গড়ছে। আর আমরা জ্বালানির অবিচারে ভূগছি। (বিইআরসি) কমিশনকে অবজ্ঞা করে, ইচ্ছে মতো জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এসময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনি ইলেক্ট্রনিক কাজের জন্যে তাঁর কিনতে যাবেন, দোকানদারকে বলবেন বিআরবির তার দেন। সে বলবে, ১১শ টাকা দামের, ২৪শ টাকা দামের তাঁর চান, নাকি ৩৬শ টাকারটা চান। অর্থাৎ একই কাজের জন্যে কতো ধরনে তার রয়েছে। কিন্তু যখন এটা থেকে আগুনের সূত্রপত হবে বা বড় দুর্ঘটনা ঘটবে, তখন টনক নড়বে কতৃপক্ষের, আর চলবে নানান তালবাহানা। কিন্তু এতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে কেন অবহেলা থাকবে? আপনার সন্তানের কথা ভেবে, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে এ বিষয়গুলোতে প্রদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান ক্যাবের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, স্রেডার ( সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ) আস্থাভাজনদেরর তারা নিয়োগ দেয়। যার কারণে স্রেডার কার্যক্রম নিয়ে কেও অভিযোগ করছে না।  কিন্তু স্রেডার রিনেইবল এনার্জি (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে  না। কারণ স্রেডার মতো এতো ছোট্ট পরিসরে এতো বড় একটা ক্ষেত্রে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, এক্ষেত্রে তাদের জেলা পর্যায়েও শাখা দরকার। অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে গড়ে তোলা দরকার।

ক্যাবের আইন উপদেষ্টা ব্যরিস্টার জোতির্ময় বরুয়া বলেন,  শুধু ক্যাবের এই সংলাপের মাধ্যমে যে এই জ্বালানি রুপান্তর নীতি কার্যকর হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্র আমাদের অনেক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। তবে, আমাদের একটা আশার কথা হলো- বিগত দিনে ক্যাবের পক্ষ থেকে যে মামলা করেছি। তাতে সফলতা পেয়েছি। অর্থাৎ আদালতকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে- আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করছি। তাই, আমরা এই আন্দোলনেরও সফলতা পাবো। এক্ষেত্রে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুললাম যে,  সরকার যে জ্বালানির মূল্য নির্ধারন করছে সেটা অন্যায়। এটার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র বিইআরসির হাতে। তাই, সরকার আইন অমান্য করছে।  তাই, সরকার নির্বাহী আদেশে বিইআরসির শক্তিকে খর্ব করে, জ্বালানির  মূল্য নির্ধারনের ক্ষমতা নিলো নিজদের হাতে (মন্ত্রণালয়ের হাতে)। যার ফলে, ভোক্তা তথা নাগরিক তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলো। কারণ আমাদের অধিকারের কথা বিইআরসির গণশুনানির মাধ্যমে তুলে ধরতে  পারতাম। অথচ, সারাবিশ্বেই ভোক্তার জ্বালানি অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলছে।

এসময় তিনি বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইন কিভাবে জ্বালানি খাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, কিভাবে জ্বালানি অধিকারকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এই আইন বাতিল করার বিষয়ে সরকারের কোন প্রদক্ষেপ দেখছি না। আমার জ্বালানি অধিকার মানে হচ্ছে- প্রাপ্যমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পাওয়ার অধিকার। এর মানে এই নয়- আমাকে একটা দাম ধরিয়ে দিয়েই, বিদ্যুৎ-জ্বালানি দেয়া। তাই, আমরা (ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে) এই বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে ক্যাবের একার  চেষ্টায় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারের আইনি পরিবর্তন আনতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এজাজ আহম্মেদ বলেন, ক্যাবের এই জ্বালানি রুপান্তর নীতি বই থেকে যা বুঝলাম বাংলাদেশের জ্বালানি খাত  কাঁদায় পড়ে গেছে। কিন্তু এই কাঁদা থেকে জ্বালানি খাত তুলে ধরতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রেতো অর্থের যোগান দিতে পারছে না সরকার। কারণ সরকারের অর্থ নেই। তাহলে তুলে আনবে কেমনে?

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পড়ে আছে। কিন্তু গ্যাস না থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।  যার কারণে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করছে। কিন্তু আমি গ্যাস ভিত্তিক বন্ধ রেখে তেল চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে না। কারণ এতে, (পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি) উৎপাদন খরচ বেশি।

সময়ে তিনি বলেন, বিশ্বের কোন দেশে ৫ শতাংশের বেশি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নেই। অথচ বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশ (৪০ শতাশ) তেল চালিত। যার কারণে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেলের দাম। আমরা বারবার বলছি- তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসুন। কিন্তু সরকার কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। এখানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা নেই।

এসময় ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রুপান্তর নীতির প্রস্তাবনায় কিছু সংস্কার এনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে উপস্থাপনের আহবান জানান তিনি। এবং এবিষয়েও ব্যাখা দেন ক্যাব কতৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে গ্যাসের আধিক্য আছে। কিন্তু সরকার বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিচ্ছে না। আমরা দেশীয় উৎপাদন না বাড়িয়ে, সরকার খনন পরিক্ষায় না গিয়ে সহজ পন্থা অবলম্বন করে আমদানির দিকে ঝুঁকলো। ফলে, আমদানি নির্ভর এই নির্ভরশীলতার কারণে দেশের জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। তাই, আমার মতে, সরকার এবিষয়ে এখনো বিবেচনায় নিলে, জ্বালানি সংকট সমাধান করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যারা গ্যাস ফিল্ড নিয়ে কাজ করছে তারা এখানো বাংলাদেশকে একটি প্রাইম এড়িয়া হিসেবে বিবেচনা করছে। কিন্তু আমরা সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি না……।  এই যে একটি ভূল নীতি, এই নীতি সম্পর্কে বোঝার মতো কোন কর্মকর্তা হয়তো নেই, অথবা আমরা বোঝাতে সক্ষম হচ্ছি না।

এসময় তিনি বলেন,  বাংলাদেশের গ্যাস সেক্টরে বড় একটি অবমূল্যায়ন হয়েছে। এ ক্ষেতে সরকার এখনো আমদানি নির্ভর এলএনজির দিকে না এগিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়ালে, দেশের জ্বালানি সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে।

এরপর মুক্ত আলোচনায় অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।

সভাপতির বক্তব্যে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানির সুবিচার না হলে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হবে না। তাই, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যে সহজে ও ন্যায্যমূল্যে ভোক্তা যাতে বিদ্যুত-জ্বালানি পায়, সেটাই আমাদের দাবি।

তিনি আরও বলেন, জনগণ সরকারের জন্য কাজ করে। আমরাও জনগণের কথা বলি। তাই, আমাদের উদ্দেশ্য এক। আমরা একের অন্যের প্রতিদ্বন্দি নই। তবে, সরকারের কিছু কাজকে আমরা অন্যায্য মনে করি। তাই আমাদের এই প্রতিবাদ।  যেমন, সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ আবার ৫ বছর বাড়িয়েছে। কিন্তু এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই বিইআরসির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা হোক। তাই, আমাদের দাবিকে যাতে সরকার বিবেচনায় নেন, সেটাই আমাদের আহবান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd