বেঁড়িবাঁধ নিয়ে সংগ্রাম আর কত কাল?
পাইকগাছায় বেঁড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব বেঁড়িবাঁধ প্রাথমিক মেরামত করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছায় গত ২৬ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। টানা কয়েক ঘন্টার ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরের দিন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধ। রেমাল এর তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে শতাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। যেসব ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মধ্যে দেলুটী, সোলাদানা, গড়ইখালী, রাড়ুলী, লস্কর ও পৌরসভা অন্যতম। সরকারি প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কয়েক দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ প্রাথমিক মেরামত, কোথাও কোথাও রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ কিছুটা মজবুত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ।
বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টে প্রাথমিক বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানগন। প্রাথমিক মেরামত কাজ শেষ করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকেরা। অনান্য ইউনিয়ন-এর মত চলমান রয়েছে গড়ইখালী বাজার সংলগ্ন আবাসন প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ। মূল ওয়াপদার বাইরে প্রতিরক্ষা বাঁধ বেষ্টুনী দিয়ে ১৭৫ পরিবার গড়ইখালী আবাসনে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে এখানকার ২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আবাসনের বাসিন্দারা বাঁধটি মেরামতের কাজ করছেন।
Leave a Reply