1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
২৯ চৈত্র, ১৪৩১
Latest Posts
📰মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র📰গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 📰গোয়ালডাঙ্গায় ভাঙ্গনের দেড় মাস পর প্রাথমিক ভাবে বাঁধের কাজ শুরু📰তরুণদের হাত ধরে সাতক্ষীরার রইচপুরে শতাধিক পরিবারে ফিরছে সুপেয় পানির স্বস্তি📰এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক আটক, ১০ দিনের কারাদন্ড📰বড়দলে ১ যুগের বেশি ডিসিয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন 📰শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিন সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা📰গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ📰ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ

শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল, কী বলেছিলেন পাইলট

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ১১৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কয়েকদিন আগেই নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে দেশের উত্তর-পশ্চিমে নিহত হওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।

মূলত ঘটনার দিন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাশেই আরেকটি হেলিকপ্টারে ছিলেন ইসমাইলি। গত সোমবার রাষ্ট্রীয় টিভির সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির কপ্টার যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইরানের সেই ভারজাকান অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতি উড্ডয়নের শুরুতে এবং বেশিরভাগ সময়জুড়েই ভালো ছিল।

আজারবাইজাননের সাথে ইরানের সীমান্তে বাঁধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসির বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। আর এর একটিতেই ইসমাইলি ছিলেন। উড্ডয়নের একপর্যায়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হলেও অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টারগুলো যাত্রা শুরু করে। স্থানীয় সময় ১৯ মে ওই এলাকার আবহাওয়া স্বাভাবিকই ছিল। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি মাঝখানে ছিল। আর এর সামনে ও পেছনে ছিল অন্য দুটি হেলিকপ্টার।

তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে গঠিত এই বহরের দায়িত্বভার ছিল প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাইলটের ওপর। ইসমাইলি বলেন, যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিট পর রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের পাইলট কাছাকাছি থাকা মেঘ এড়াতে অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটকে আরও উঁচুতে উঠে ভ্রমণ করার নির্দেশ দেন।

সেসময় পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝে এবং এর সামনে ও পেছনে অন্য দুটি হেলিকপ্টার ছিল। তবে হঠাৎ রাইসির হেলিকপ্টার উধাও হয়ে যায়।

ইসমাইলি বলেন, ‘মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ৩০ সেকেন্ড পর, আমাদের পাইলট লক্ষ্য করলেন- মাঝখানের হেলিকপ্টারটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। এরপর আমাদের পাইলট বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকেন এবং হেলিকপ্টারটি খুঁজতে থাকেন।’

ইসমাইলি আরও বলেন, এরপর রেডিও ডিভাইসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সাথে যোগাযোগ করার একাধিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি, আবার মেঘের কারণে তাদের হেলিকপ্টার আরও নিচে নামতে পারছিল না। এরপর তাদের হেলিকপ্টারটি সামনের দিকে আবারও তাদের যাত্রা আবার শুরু করে এবং কিছু সময় পরই নিকটবর্তী একটি তামার খনিতে অবতরণ করে।’

ইরানের এই প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ বলেন, এরপর তারা ‘অদৃশ্য হয়ে যাওয়া’ হেলিকপ্টারটিতে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা ইউনিটের প্রধানকে বারবার ফোন করেন। তবে তারা কেউ সাড়া দেননি।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটরা প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মোস্তাফাভির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ফোন রিসিভ করেন তাবরিজে জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম। তবে তার অবস্থাও ভালো ছিল না। তিনি (আলে-হাশেম) জানান, তাদের হেলিকপ্টারটি একটি উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

এরপর ইসমাইলি নিজেই আলে-হাশেমের সাথে দ্বিতীয় দফায় যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে একই উত্তর পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘যখন আমরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন লাশের অবস্থায় বোঝা যাচ্ছিল- আয়াতুল্লাহ রাইসি এবং অন্যান্য সঙ্গীরা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হয়েছিলেন, কিন্তু আলে-হাশেম আরও কয়েক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন এবং পরে মারা যান।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd