সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের এমপিও বাতিলের দাবি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ আওছাফুর রহমানের এমপিও বাতিলসহ উত্তোলিত সমুদায় অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী মোঃ হাফিজুর রহমান।
বুধবার ৫ জুলাই ২০২৩ সকালে তিনি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এই অভিযোগ পত্রটি জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে, আশাশুনি থানার মহিষাডাঙ্গা মহাজনপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ইউসুফ আলী সরদারের ছেলে মোঃ আওছাফুর রহমান (ইনডেক্স নং- K2023497)। সে ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসায় প্রভাষক (গণিত) পদে অবৈধভাবে নিয়োগের মাধ্যমে যোগদান করে এবং ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি এমপিও ভূক্ত হয়। সে ইবি অডিন্যান্স অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।প্রভাষক নিয়োগে ইবি অডিন্যান্সের ৩ এর (২) এর (ii) ধারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবিধান ২০০৬ সালের শিক্ষাবর্ষে ৩ এর (২) (ii) ধারা অনুযায়ী প্রভাষক নিয়োগে ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক এবং ৩ এর খ ধারা অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি না থাকলে সেই বোর্ড বাতিল বলে গণ্য হবে।উল্লেখ্য যে ইবি অর্ডিন্যান্সের শিক্ষক বলতে বোঝানো হয়েছে ২ এর ধারায় উল্লেখ আছে ইবি অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক, প্রভাষক অথবা ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার পাঠদানের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, ডেমোনেস্টেটর, শরীরচর্চা শিক্ষক বোঝাবে। ইবি আরবী প্রবিধান ২০১৯ এর খ:১৭ ধারায় উল্লেখ আছে শিক্ষক বলতে অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, ফকিহ, আধিব, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত এবং মাদ্রাসার প্রদর্শক শরীরচর্চা শিক্ষক বুঝাবে। এসব বিধান অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ ইবি অর্ডিন্যান্স অনুসারে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক।
অভিযুক্ত মোঃ আওছাফুর রহমানের নিয়োগ বোর্ডে ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি না থাকায় তার নিয়োগ অবৈধ।
এ বিষয়ে মোঃ আওছাফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার নিয়োগ বৈধ বলে দাবী করেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলছেন পরে আরো বিস্তারিত বলবেন বলে জানান।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন ঐ শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছে তখন আমি ছিলাম না। তবে আমি খোঁজখবর নিব।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী ও এলাকাবাসী মোঃ আওছাফুর রহমানের এমপিও বাতিল করে উত্তোলিত সমুদায় অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *