পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের স্থাপনাগুলোর ডাক্ট (বিশেষ ধরনের নল বা পাইপ) ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবার/ক্যাবল পরিবহন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধাপদ্মা সেতু দিয়েও নেওয়া যাবে অপটিক্যাল ফাইবার, গুনতে হবে টাকা
ন্যাশনাল ডেস্ক : পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের স্থাপনাগুলোর ডাক্ট (বিশেষ ধরনের নল বা পাইপ) ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবার/ক্যাবল পরিবহন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব স্থাপনার একপাশ থেকে অন্যপাশে সংযোগ স্থাপনে অপটিক্যাল ফাইবারের লাইন নিতে পারবে। এজন্য প্রতি মিটার দূরত্বের জন্য মাসে ২০ টাকা ফি দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ডাক্ট ব্যবহার নির্দেশিকা জারি করেছে। সেতু বিভাগের উপসচিব আনোয়ারুল নাসেরের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকাটি রবিবার (৯ জুলাই) গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন জমি ও স্থাপনায় নির্মিত ডাক্ট ব্যবহার করে ক্যাবল স্থাপন করা যাবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) রুপম আনোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে সেতু কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের আয়ও আসবে।
সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ধরনের মধ্যে রয়েছে ১৫০০ মিটার বা এরচেয়ে দীর্ঘ সেতু, টোল রোড, টানেল, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সাবওয়ে, কজওয়ে, লিংক রোড, দ্বিতল সড়ক বা অন্য যেকোনও স্থাপনা।
বর্তমানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্মিত ও নির্মানাধীন স্থাপনার মধ্যে রয়েছে– পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, কচুয়া-বেতাগী সড়কে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প ও ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উওর সেতু নির্মাণ প্রকল্প।
প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে– যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা প্রকল্প এবং মেঘনা নদীর ওপর শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে ও মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া সড়কে সেতু নির্মাণ প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- স্থাপনার ক্যাবল স্থাপনের জন্য স্থাপনার ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত ডাক্ট ব্যবহার করে ক্যাবল স্থাপন করতে হবে। নির্ধারিত স্থানে পিওপি (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) এর মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ করতে হবে। পিওপি স্থাপনসহ যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।
অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপনে প্রতিমিটার ভাড়া মাসে ২০ টাকা (সর্বোচ্চ ৪৮ কোর)। এর চেয়ে বেশি হলে প্রতি কোরের জন্য অতিরিক্ত ২ টাকা করে দিতে হবে। ১৫ বছরের চুক্তিতে এই সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতি বছরে ১০ শতাংশ ইজারা মূল্য বাড়বে।
বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল, সামিট কমিউনিকেশনস ও ফাইবার অ্যাট হোম এনটিটিএন (ঘধঃরড়হরিফব ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ ঞৎধহংসরংংরড়হ ঘবঃড়িৎশ) লাইসেন্স নিয়ে মাটির নিচ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার পরিবহন করছে।
প্রসঙ্গত, ডাক্ট হচ্ছে বিশেষ ধরনের নল বো পাইপ যার মধ্য দিয়ে ক্যাবল পরিবহন করা হয়। এটি ক্যাবলের বিশেষ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।রী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব স্থাপনার একপাশ থেকে অন্যপাশে সংযোগ স্থাপনে অপটিক্যাল ফাইবারের লাইন নিতে পারবে। এজন্য প্রতি মিটার দূরত্বের জন্য মাসে ২০ টাকা ফি দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে।
Leave a Reply