বিশেষ প্রতিনিধি : অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ শাহীনের রিমা- ও জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মোমরেজ আলী মোল্লার সাত দিনের রিমা- আবেদন শুনানী শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাকিবুল ইসলাম এ আবেদন না’মঞ্জুর করেন।
বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ শাহীন সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার মোশারফ হোসেনর ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২ জুন ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাসুম বিল্লাহ শাহীনকে একটি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউ- পিস্তলের গুলিসহ শ্যামনগর উপজেলার গোপালপুর দীঘরি পার্শ্ববর্তী হাফিজুর রহমানের মাছের ঘেরের পাশ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও দু’ রাউ- গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাতি হয়ে মাসুম বিল্লাহ শাহীনসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামী করে ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় একটি মামলা (জিআর-২২৭) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মোমরেজ আলী মোল্লা আসামী মাসুম বিল্লাহ শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩ জুন আদালতে সাত দিনের রিমা- আবেদন করেন। বুধবার আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২) ও রাষ্ট্রপক্ষের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন এবং মামলার তদন্তককারি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী মোল্লার বক্তব্য শুনানী শেষে তার জামিন ও রিমা- আবেদন না’মঞ্জুর করেন।
রিমা- ও জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোমরেজ আলী মোল্লা।
আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের যা বললেন শাহীন—-
তার ভাই শফিউর রহমান মনি’র আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হাতে খোয়া যাওয়া দুই কেজি সোনা ও ওই পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি গত ২৭ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। পরবর্তীতে বিষয়টি সাতক্ষীরার এক উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা জানতে পারেন। এরপরপরই তার উপর হুমকি ধামকি শুরু হয়। একপর্যায়ে রোজা চলাকালিন কলারোয়া থানায় একটি, গত ২৭ মে পাটকেলঘাটায় তার নামে একটি, পরদিন শ্যামনগর, সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, আশাশুনি ও কলারোয়া থানায় একটি নাশকতার মামলা হয়। ওইসব মামলায় তাকেসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। এসব মামলার মধ্যে গত ৩১ মে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তিনি অ্যাড, শাহানারা আক্তার বকুলের মাধ্যমে তিনটি ও পহেলা জুন অ্যাড. দোহার মাধ্যমে দুটি মামলার অন্তবর্তীকালিন জামিন লাভ করেন। আইনজীবীর প্যাডে লেখা জামিনাদেশ নিয়ে তিনি ঢাকার এক প্রখ্যাত সাংবাদিকের ভাইপোসহ কয়েকজন হাইকোর্ট থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসা মাত্রই পহেলা জুন বৃহষ্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশের হাতে আটক হন। সেখান থেকে তাকে চোঁখ বেঁধে সাতক্ষীরা ও শ্যামনগরে নিয়ে আসা হয়। রাতভর তাকে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়। তাকে নির্যাতন করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, রিমা- শুনানীকালে বিচারক বিষয়টি বুঝেছেন।
তবে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, মাসুম বিল্লাহ শাহীনের উপর নির্যাতন ও ঢ্কাা থেকে ধরে নিয়ে আসা ও তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। অস্ত্র কেনা বেচার প্রস্তুতিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদরসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে যাহা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply