1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
৪ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 📰ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর মানববন্ধন📰আশাশুনি জামায়াতের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির📰বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা 📰সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ📰বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন📰ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা📰দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা📰এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান📰২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

টাইটানের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ২৮৬৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিখোঁজ হওয়া টাইটান ডুবোযানটি যে কোম্পানি চালায় সেই ওশানগেটের এক সাবেক কর্মকর্তা ২০১৮ সালেই টাইটানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের কিছু নথিতে দেখা যায় ডেভিড লকরিজ, কোম্পানিটির মেরিন অপারেশনের পরিচালক তার এক প্রতিবেদনে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অনেকগুলো জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে যা নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ এবং একইসঙ্গে এটা যেভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে সে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। খবর বিবিসির
ডেভিড লকরিজ বলেন, ‘এই ডুবোযান যখন পানির একেবারে গভীরে যাবে তখন সেখানে থাকা যাত্রীদের জন্য সেটি মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’
তিনি বলেন, তার এই সতর্কতা উপেক্ষা করা হয় এবং তিনি যখন ওশানগেট বসের সাথে বৈঠক ডাকেন তখন তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে এই নথি থেকে জানা যায়।
কোম্পানি তার বিরুদ্ধে গোপনীয় তথ্য প্রকাশের অভিযোগে মামলা করে, আর তিনিও পাল্টা মামলা করেন তাকে অনৈতিকভাবে ছাঁটাই করার জন্য। পরে দুপক্ষই মামলার বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসে তবে আমরা তার বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।
টাইটান ডুবোযানটি বেশ কিছু ভিন্ন উপকরণে নির্মিত হয় যা সাধারণত গভীর সমুদ্রযানে দেখা যায় না। এটার যে প্রধান কাঠামো-যেখানে যাত্রীরা বসে তার চারপাশ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরী, এর সাথে ব্যবহার হয় টাইটানিয়ামের প্লেট এবং একপাশে একটা ছোট জানালা রাখা হয়।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বায়োলজি বিষয়ের লেকচারার ড. নিকোলাই রটেরডাম বলেন, ‘সাধারণত গভীর সমুদ্রের ডুবোযান যা মানুষ বহন করে সেটি প্রায় ২মিটার ব্যাসরেখার টাইটানিয়াম স্ফেয়ারের হয়ে থাকে। পানির গভীরে যে প্রচন্ড চাপ তৈরী হয় সেটার মোকাবেলায় আপনার খুবই শক্তিশালী উপাদান লাগবে, যাতে পানির ওজন যা আপনাকে প্রতিনিয়ত নিচের দিকে নিতে থাকে সেটা আপনি এড়াতে পারেন। কার্বন ফাইবার টাইটানিয়াম বা স্টিলের চেয়ে কম দামি কিন্তু এটাও খুবই শক্তিশালী। কিন্তু টাইটানের মতো গভীর সমুদ্রের ডুবোযানের ক্ষেত্রে তা এখনও পরীক্ষিত নয়।
গত বছর ওশানোগ্রাফিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী রাশ টকটন বলেন, ‘কার্বন ফাইবার ইয়ট এবং এভিয়েশনে সাফল্যের সাথেই ব্যবহার হচ্ছে তবে ডুবোযান যাতে মানুষ থাকে সেখানে এখনো ব্যবহার করা হয়নি।’
আদালতের নথিতে লকরিজ দাবি করেন- এর কাঠামো কতেটা চাপ নিতে পারে এবং এর সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কি তা যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।
তার দাবি, এটি কতোটা চাপ নিতে পারে সেটার একটা ছোট স্কেলে পরীক্ষার সময় এই ডুবোযানের কার্বন ফাইবারে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে।
একইসাথে যে টাইটানের জানালা রাখা হয় সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লকরিজ। তিনি বলেন, যারা এটি বানিয়েছে তাদের সেই উপকরণ তখনই স্বীকৃতি পাবে যখন তা ১৩০০ মিটার গভীরে ব্যবহার করা হবে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওশানগেট এক বিবৃতিতে জানায় টাইটান ৪০০০ মিটার গভীর পর্যন্ত গিয়েছে যা ‘এর কার্বন ফাইবার ও টাইটানিয়াম কাঠামোর ব্যাপারে ওশানগেটের উদ্ভাবনী প্রকৌশল ও নির্মাণকে নিশ্চিত করে।’
২০২০ সালে গিকওয়্যারের সাথে এক সাক্ষাৎকারে রাশ বলেন, পরীক্ষায় ডুবোযানটি ‘টানা ব্যবহারে কিছু ক্লান্তির ছাপ’ দেখিয়েছে।
২০২১ সালের মে মাসে আদালতের নথিতে বলা হয় কোম্পানিটি জানিয়েছে যে টাইটান ৫০টিরও বেশি টেস্ট ড্রাইভ দিয়েছে, টাইটানিকের সমপরিমাণ গভীরে গিয়েছে, বাহামার গভীর সমুদ্রে গিয়েছে এবং একটা প্রেশার চেম্বারেও এটি নেমেছে।
টাইটানের কাঠামোটাও একটু ভিন্নরকম
গভীর সমুদ্রের ডুবোযানের আকৃতি সাধারণত গোলাকার হয়ে থাকে, যাতে সবদিকে এটি সমান চাপ নিতে পারে। কিন্তু টাইটান টিউব আকৃতির, ফলে এতে সবদিকে চাপ সমানভাবে যায় না।
উদাহরণস্বরুপ আরেকটা ডুবোযান লিমিটিং ফ্যাক্টর। এটির নির্মাতা ট্রাইটন সাবমেরিন, যা নিয়মিত সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণ করেছে, এমনকি ১১ কিলোমিটার গভীরে ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চের নিচ পর্যন্ত গিয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd