নিজস্ব প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশে নিজ দায়িত্ব পালন শুরু করলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি। বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোঃ নাজিমউদ্দিন, প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, পৌরসভার সচীব মোঃ লিয়াকত আলী, প্রধান অফিস সহকারি প্রশান্ত ব্যাণার্জী সহ নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ।দায়িত্ব পালন শুরুতেই মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি বলেন, একটি নাশকতা মামলায় আমি জেল হাজতে যাওয়ার কারণে গত ৬ ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত তার বরখাস্তাদেশ এর উপর স্থগিতাদেশ দেন। এরপরও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেখিয়ে প্রধান নির্বার্হী মোঃ নাজিমউদ্দিন ও ১নং প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান পৌরসভার অর্থনৈতিক কর্মকাÐসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আবারো উচ্চ আদালতে গেছেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করায় স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয় কাজী ফিরোজ হাসানকে। গত সোমবার আদালত প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানকে ভৎসনা করেন। আদালত না মানলে তাকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানার করার কথা বলেন বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরী। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুর রহমান ১২ জুন এক চিঠিতে তার (চিশতি) দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত একটি চিঠি প্রধান নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান।চিশতি আরো জানান, হাইকোর্ট ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় পৌরসভার নিজ কক্ষে য়োকার জন্য গেলে দরজায় তালা লাগানো ছিল। একপর্যায়ে তিনি নীচে এসে একটি কক্ষে বসে প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি তার কক্ষের তালা, মেয়রের ব্যবহৃত গাড়ির চাবি, পৌরসভার হাজিরা বহি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিছুই বুঝিয়ে দেননি। একপর্যায়ে একটি অফিস আদেশে সাক্ষর করে তা প্রধান অফিস সহকারির কাছে দিয়ে চলে যান। একসাথে পানির বিল চারগুণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনগণের ক্ষোভের ব্ষিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভার কোটির বেশি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে অনিকে দিন ধরে। সেক্ষেত্রে পানির বিল অনেক আগে থেকেই বাড়ানোর জন্য তিনি সকল কাউন্সিলরদের মতামত চেয়েছিলেন। তবে তার অবর্তমানে যেভাবে পানির বিল বাড়ানো হয়েছে তা আইন সম্মত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। তবে যে সমস্ত জায়গায় পানি সরবরাহ অপ্রতুল সেসব স্থানে যাঁচাই বাছাই না করে পানির বিল ধরিয়ে দেওয়া অগণতান্ত্রিক বলে তিনি মনে করেন। তবে তার অনুপস্থিতির সময়ে যদি কোন অর্থনৈতিক তছরুপের ঘটনা বা অন্য কোন অনিয়মের ঘটনা জানা যায় তা তিনি সাংবাদ সস্মেলন করে পৌরবাসিকে অবহিত করবেন।এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোঃ নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি এক চিঠির মাধ্যমে পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতিকে বুধবার দুপুর আড়াইটায় দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পর্কে এক চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানের কাছ থেকে লিখিতভাবে দায়িত্ব বুঝে নেননি। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি আস্ফলন করে মেয়রের রুম থেকে বেরিয়ে যান ####তার এই অসভ্য অসৌজন্যমুলুক আচরণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচিত মেয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন। আমার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা না করলে আমি মহামান্য হাইকোর্টে কে জানাবো এবং তার বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply