চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন

ন্যাশনাল ডেস্ক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, দেশে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে।
রবিবার (১১ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআই-সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব জানান, দেশে চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি-নির্ভর। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না। কারণ, আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, শুল্কহার, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আজ (রবিবার) থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য আমরা বলেছি। আশা করি, দুই-তিন দিনের মধ্যে নতুন দামে বাজারে তেল পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ আসন্ন ঈদের আগে আরেক দফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তপন কান্তি ঘোষ জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত বাকি পেঁয়াজ দেশে এলে দাম আরও কমবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘গত এক বছরে চাহিদার বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনও পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আজহায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ীসহ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *