যাদের মন ছোট তাদের রাজনীতি করা উচিত নয় : ওবায়দুল কাদের  

ন্যাশনার ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দেশের অর্জনকে নিজেদের মনে করে না, তাদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে যুক্তরাষ্ট্র সফরে শেখ হাসিনা কিছুই আনতে পারেনি, খালি হাতে ফিরবে। মনটা যাদের ছোট তাদের রাজনীতি করা উচিত নয়। দেশের অর্জনকে যারা নিজেদের মনে করে না তাদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।’  
ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। নালিশ করতে নয়, দেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতেই তার এই বিদেশ সফর। যারা ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করেন, তারাই বলছেন শেখ হাসিনার বিদেশ সফরে কোনো অর্জন হয়নি।  
রাজনীতিতে বিভক্ত হয়ে দেয়াল তৈরি নয়, সম্প্রীতির সেতু তৈরির আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নষ্ট ও অসুস্থ রাজনীতিকে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করব। শান্তির রাজনীতি পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনীতিতে দেয়াল তৈরি করলে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিভক্ত হয়ে দেয়াল তৈরি না করে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করতে হবে। কারণ, আমরা সাম্প্রদায়িক হানাহানি সংঘাত চাই না, সন্ত্রাস চাই না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাজনীতি করে খাটো হয়েছেন। কিন্তু দেশটাকে খাটো করবেন না। দেশের অর্জন আমাদের সবার অর্জন। এটা আওয়ামী লীগের অর্জন নয়। এই বাংলাদেশের সব মানুষের অর্জন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব সংকটের সময় শুধু বাজেট সহযোগিতার জন্য জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন, অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এটা কি অর্জন নয়? আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক চলে গিয়েছিল। সেই বিশ্বব্যাংক আজ তাদের ভুল স্বীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারাও প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের জন্য বাজেট সহায়তা দিয়েছে। এটাও কি অর্জন নয়?   
ওবায়দুল কাদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই, সন্ত্রাস চাই না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে চেতনা বিরোধী সন্ত্রাসকে রুখতে হবে। বৌদ্ধদের এ উৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সকলেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। গৌতম বুদ্ধ শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, থাইল্যান্ড ও চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *