বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘অন্তর্জাল’। রোববার প্রকাশিত ছবিটির দ্বিতীয় পোস্টারে সাইবার থ্রিলারেরই ইঙ্গিত মিলল। সেই সঙ্গে জানানো হল ছবিটি ঈদুল আজহায় বাংলাদেশসহ একসঙ্গে পাঁচ মহাদেশে মুক্তি পাবে।
পরিচালক দীপংকর দীপনের তৃতীয় নির্মাণ এটি। এর আগে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ নির্মাণ করে বড় বাজেটের সিনেমার নির্মাণে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
দীপংকর দীপন বলেন, ‘ইন্টারনেট দুনিয়ার নানান অবিশ্বাস্য ঘটনার ঝলক নিয়েই এই সিনেমা। সিনেমার অ্যাকশন আর থ্রিলারকে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতেই সিনেমাটি ৫ মহাদেশের বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের দেখার সুযোগ তৈরি করছি আমরা।’
‘কারিগরি প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযুক্তি আর সিনেমার গল্পের টান টান উত্তেজনা পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অন্তর্জাল সিনেমায়,’ যোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছবিটি স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো ডিস্ট্রিবিউশন করবে। প্রতিষ্টানটি বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত সালাউদ্দিন জানিয়েছেন আগামী ঈদে আমেরিকা ও কানাডার একাধিক শহরে প্রায় শতাধিক সিনেমা হলে নিয়মিত প্রদর্শনীর জন্য স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো রিলিজ করবে।
ইন্টারনেটের রহস্যময় দুনিয়ার জাল আর চাল নিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সাইবার অ্যাকশন থ্রিলার ‘অন্তর্জাল’। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছন সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, এবিএম সুমন, সুনেরাহ বিনতে কামাল।
সিনেমাটি নিয়ে সিয়াম বলেন,‘দীপংকার দাদার নির্মাণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আগামী ১০-১৫ বছর পর যে ছবি নির্মাণ হওয়ার কথা। তিনি এই সময়েই সেই ছবি বানিয়ে ফেললেন। এতে আমার চরিত্রের নাম লুমিন। সিনেমায় লুমিন একজন প্রোগ্রামার। লুমিনের মত সবগুলো চরিত্রই এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লাগছে ছবিটি একসঙ্গে পাঁচ মহাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। এভাবেই একদিন বাংলা ছবি বিশ্ব জয় করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
ছবিটিতে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে অভিনয় করেছেন মিম। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করে আসা একজন তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি প্রযুক্তি খাত ও সাইবার দুনিয়ায় নারীদের আরও বেশি এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণার গল্পে তৈরি হয়েছে এই সিনেমা। ছবিটি বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশে মুক্তি পাচ্ছে এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর।
‘অন্তর্জাল’ চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন দীপংকর দীপন, সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে নির্মিত এই সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন পিপল স্টুডিও। সার্বিক সহযোগিতায় স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট।
Leave a Reply