প্রধানমন্ত্রীর জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘ইন্দো ফ্যাসিফিক রূপরেখা (আইপিএস)’ ঘোষণা এবং বিনা টেন্ডারে মার্কিন কোম্পানি এক্সন মবিল-কে গভীর সমুদ্রের ১৫ টি ব্লকে ত্যাল-গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এ সভা ৮ মে, সোমবার, সন্ধ্যা ৬ টায় সেগুনবাগিচাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, ‘ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চীন-বিরোধী শক্তিসমূহের সামরিক ও অর্থনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে কোয়াড এবং আইপিএস-এর নামে যে অশুভ তৎপরতা চলছে, তার সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করা যাবে না। জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে সক্ষম করে তোলার জন্যে সরকারের উদ্যোগ নেই। অথচ, কোনো প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই মার্কিন কোম্পানিকে সমুদ্রের ১৫ টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারলেও ২০১৮ সালের চুক্তির আওতায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার একদিকে দেশের মানুষের ওপর নির্মম শোষণ-নিপীড়ন চালাচ্ছে, অন্যদিকে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মহলকে সন্তুষ্ট করে আর একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে’।
সরকারের জাতীয় ও জনস্বার্থবিরোধী ভূমিকার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য বেলাল চৌধুরী, দলিলের রহমান দুলাল প্রমূখ।
Leave a Reply