আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে : এনামুর রহমান

ন্যাশনার ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো। মোখায় আশ্রিত মানুষ ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।  
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার চব্বিশটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ , কক্সবাজার জেলায় ৫৭৬ টি কেন্দ্রে ২ লাখের অধিক এবং সেন্টমার্টিনে সাড়ে আট হাজার লোককে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কুতুবদিয়া, সন্দীপ এবং নোয়াখালীর কিছু অংশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পেরেছি।
এনামুর রহমান বলেন, বর্তমানে ভাটা শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নাই। এখন ৬৫ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হচ্ছে। কেন্দ্রে গতিবেগ ২২০ কিমি।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা পাঠানো আছে। এছাড়া মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত খালি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি। ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১৪ মেট্রিক টন ড্রাই কেক এবং টোস্ট দিয়েছি। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, খাবার স্যালাইন এবং মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যারা ডিউটি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, যারা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ছিলেন তাদেরকেও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রস্তুতির সময় বেশি পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা সুন্দর হয়েছে। ৭ তারিখ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছি।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারে একটি কেন্দ্রে পানি ছিলো না বলে  জেনেছি। সেখানে মিনারেল ওয়াটার দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রের পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *