ক্রীড়া ডেস্ক : অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাফ-সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম করেন ৬৯ রান। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ৪৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৭ রান করেন।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে টাইগাররা। আঙুলের ইনজুরিতে এ ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান। সাকিবসহ শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ হয়েছে রনি তালুকদার, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও মুস্তাফিজুর রহমানের। এরমধ্যে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে রনি ও মৃত্যুঞ্জয়ের।
অধিনায়ক তামিমের সাথে ইনিংস শুরু করে প্রথম ১১ বলে রান নিতে পারেননি রনি। ১২তম বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন রনি। পরের ডেলিভারিতেই মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হন ৪ রান করা রনি।
দ্বিতীয় উইকেটে দ্রুত রান তুলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম। দলের রান হাফ-সেঞ্চুরি পার করলেও ১ রানের জন্য জুটিতে অর্ধশতক করতে পারেননি তামিম-শান্ত। ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে দ্বিতীয় স্লিপে অ্যান্ড্রু বলবির্নিকে ক্যাচ দেন ৭টি চারে ৩২ বলে ৩৫ রান করা শান্ত। জুটিতে ৪৪ বলে ৪৯ রান উঠে।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নিয়মিত ওপেনার লিটন। তামিমের সাথে বড় জুটি গড়ার চেষ্টায় সফল হন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত চার নম্বরে নামা লিটন। জমে উঠা জুটিতে আসে অর্ধশতকও। কিন্তু জুটিতে ৭০ রান আসার পর বিচ্ছিন্ন হন তামিম-লিটন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বলে মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডায়ারকে ক্যাচ দেন লিটন। ৩৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় য়ে ৩৫ রান করেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর নয় ইনিংস পর ৬১ বলে ওয়ানডেতে ৫৬তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। অধিনায়কের হাফ-সেঞ্চুরির পর দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা তৌহিদ হৃদয়। এবার ১৩ রান করেন তিনি।
বড় ইনিংসের আভাস দিয়ে ৬৯ রানে আউট হন তামিম। জর্জ ডকরেলে বলে উইকেট ছেড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৬টি চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করেন তামিম।
৩৪তম ওভারে দলীয় ১৮৬ রানে তামিমের আউটের পর ইনফর্ম মুশফিকুর রহিমের সাথে দারুন এক জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। দু’জনের হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে বাংলাদেশের রান আড়াইশ পার হয়।
হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬তম ওভারে ম্যাকব্রিনের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর আউট হন মুশফিক। রিভিউ নিলেও, আম্পায়ার্স কলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৪৫ রান করেন মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেটে মিরাজের সাথে ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
দলীয় ২৬১ রানে মুশফিকের বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংস ফিনিংশ করার দায়িত্ব পান মিরাজ। কিন্তু পরের ওভারে অ্যাডায়ারের বলে ফিরেন ৩টি চারে ৩৯ বলে ৩৭ রান করা মিরাজ।
৭ বলের ব্যবধানে মুশফিক-মিরাজ আউটের পর লোয়ার-অর্ডারে শেষ ৩ উইকেটে মাত্র ৯ রান আসে। ৭ বল বাকী থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের অ্যাডায়ার ৪০ রানে ৪টি, ম্যাকব্রিন-ডকরেল ২টি করে উইকেট নেন।
Leave a Reply