স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১০ সাল থেকে একদিনের ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত থাকা সত্ত্বেও কাল থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের হালকাভাবে না নিতে দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে আইরিশদের উপর প্রভাব বিস্তার করে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছিলো বাংলাদেশ।
কিন্তু আসন্ন সিরিজটি ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেখানকার কন্ডিশনই আয়ারল্যান্ডের জন্য বড় শক্তি। এজন্যই তামিমের বিশ^াস এটি ভিন্ন ম্যাচ হবে। তাই সিরিজে বাংলাদেশকে ফেভারিটের তকমা দিতে রাজি নন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো একটি ভিডিওতে তামিম বলেন, ‘ফেভারিট শব্দটি আমি খুব বেশি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে এবং ম্যাচ জিততে এসেছি। কিন্তু ক্রিকেটে আপনি আগের থেকে কিছুই বলতে পারবেন না। এই কন্ডিশনের সাথে তারা খুব ভালো দল ও বেশ পরিচিত।’
আগামীকাল চেমসফোর্ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। আইসিসি সুপার লিগের অংশ সিরিজের বাকি দু’টি ম্যাচ একই ভেন্যু হবে যথাক্রমে- ১২ ও ১৪ মে।
গেল ২ মে ইংল্যান্ডে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। ৫ মে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে একটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু বৃষ্টির কারনে প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টাইগারদের সাথে আয়ারল্যান্ডের পার্থক্য বিস্তর । এখন পর্যন্ত ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ৯টিতে জয় ও ২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনে প্রথমবারের দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো আয়ারল্যান্ড। ২০১০ সালে বেলফাস্টে শেষবার বাংলাদেশকে হারিয়েছিলো আইরিশরা।
তামিম বলেন, ‘আবহাওয়া আমাদের হাতে না থাকায় আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারিনি। যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছি এবং বাকিটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। লক্ষ্য হলো ভালো খেলা এবং ম্যাচ জেতা। যেখানে খেলা হবে সেখানকার মাঠে আগামীকাল যাবো এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে আমরা সেখানে অনুশীলন করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা সেখানে প্রত্যেকটি সেশন অনুশীলন করতে পারতাম, তাহলে খুবই ভালো হতো। তবে এই সুবিধাগুলো আমাদেরকে দেওয়া হয়নি, কারণ সেখানে খুব সম্ভবত কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচ চলছিলো। তাই আমি এসব নিয়ে ভাবছি না, কারন এসব কিছুতে একজন ক্রিকেটার বা অধিনায়ক বা দলের কারও কোন নিয়ন্ত্রণে নেই।’
তামিম আরও যোগ করে বলেন, ‘তাদের কথা না ভেবে, ৯ তারিখ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলা রয়েছে সেটির জন্য আমরা যতটা সম্ভব মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারি এবং সকলেই খেলাটির সাথে কিছুটা হলেও জড়িত। আমি নিশ্চিত, আমরা যত বেশি মানসিকভাবে প্রস্তুত হবো, তত বেশি এটি আমাদের সাহায্য করবে।’
চেমসফোর্ডের উইকেট এবং কন্ডিশন দেখে একাদশ ঠিক করা হবে বলে জানান তামিম। তিনি বলেন, ‘উইকেট দেখেই আমরা কম্বিনেশন কি হবে সেটি বলতে পারি। কারণ এই মাঠে আমাদের খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই।’
Leave a Reply