1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অস্তিত্বহীন বিদ্যালয়ের পিমিএমআইএ অনলাইনে ভূয়া তথ্য দিয়ে সরকারিকরণের চেষ্টার অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

রঘুনাথ খাঁ : ভূয়া তথ্য দিয়ে অস্তিত্বহীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১টি বেসরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় সরকারিকরণের পায়তারা চালানোর হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রাইমারি অ্যাডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের(পিমিএমআইএস)অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।অধিদপ্তরের পিমিএমআইএস অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য থাকার পরও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে প্রতিবছর তা নবায়ন করছেন। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকনির্ধারিত কোড নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট অনলাইনের প্রতিবছর তার ও তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আনুসঙ্গিক সবকিছু হালনাগদ করে তিনি তার ক্লাস্টরের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর পাঠাবেন। তিনি যাচাই-বাছাই শেষে একই প্রক্রিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত
অনুমোদন দিয়ে অনলাইন আপডেট করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পিমিএমআইএস এর অনলাইনে সরাসরি আপডেট করার সুযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৩ সালের ৭ মে তৎকালিন জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ডিজিতে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই তালিকায় এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ও তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা উপজেলার পিমিএমআইএস অনলাইনে সংযোজন করা হয়েছে ২০২১ সালে। এসব বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটির একতলা ভবন, নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জমি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবরে আব্দুল গণি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিেেসব যোগদান করার পর এসব তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিবছর এসব ভূয়া তথ্য হালনাগাদ করেছেনও তিনি।
সরেজমিনে ওইসব বিদ্যালয়ের খোঁজ নিতে যেয়ে দেখা যায়, আটটি বিদ্যালয়ের কোনো
অত্বিস্ত নেই। তিনটির মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগড়দাড়ী ইউনিয়নের নেহা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারটি ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে। বাশেঁর বেড়া ও এসবেস্টস দিয়ে ছাউনির এসব ঘরে সাতটি বেঞ্চ, দুইটি টেবিল ও তিনটি চেয়ার রয়েছে। স্থানীয় আসমা খাতুন জানান, বছর দুই হলো তাদের গ্রামের এ বিদ্যালয়টি করা হয়েছে। কেউ পড়তে আসেনা এখানে। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফরিদউদ্দিন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাবি করে জানান,বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য তিনি সাত লাখ টাকা ব্যয় করেছেন।তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আগে ৬৯ জন শিক্ষার্থী ছিল। করোনার পরে কেউ বিদ্যালয়ে আসে না। টাফরারডাঙি বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘর থাকলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই। বাঁশদহা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়,একটি ঘর রয়েছে। ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ি তহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুই মাস কার্যক্রম ছিল জনৈক আব্দুল মান্নানের বাড়িতে। মাস সাতেক আগে আব্দুল মান্নান ১৭ শতক জমিস কিনে তাতে একটি ৩০ফুট লম্বা ও ১২ ফুট চওড়া একটি টিনের শেড বিশিষ্ঠ ঘর বানিয়েছেন। সেটাকে বিদ্যালয় হিসেবে দেখাতে চান। ওই বিদ্যালয়ে তার ভাইঝি, নিজের স্ত্রী ও নিজের ভাইয়ের স্ত্রীসহ চারজনকে শিক্ষক দেখানো হয়েছে। অন্য বিদ্যালয়গুলোর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।দক্ষিণ হাওয়ালখালী গ্রামের যুবক মো: মরিুজ্জামান জানান, তাদের গ্রামে দক্ষিণ হাওয়ালখালী বালিয়ডাঙ্গা নামে কোনো বিদ্যালয়
নেই। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফরিদউদ্দিন জানান, কাওনডাঙ্গা মিয়ারাজ উদ্দীন বেসরকারি
প্রাথমিকি বিদ্যালয়ের ওই গ্রামে কোনো অস্তিত্ব নেই। দক্ষিণপাড়ার বটতলায় সোহারব হোসেনের আড়াই বিঘা জমির একাংশে (বর্তমানে বোরো ধানের খেত) স্কুল বানানোর কথা শোনা যাচ্ছে তিন বছর ধরে।

অনলাইনে আপডেটকৃত পিমিএমআইএস অনুযায়ী, দত্তবাগ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক কানিজ ফাতেমা জানান, বিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে একজন জমি দিতে চেয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে ওই জমি নিমাই দাস নামের একজনের কাছে বিক্রি হয়েছে।
খেজুরডাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেব নাম থাকা সমীরণ
কুমার সরকার জানান, এক সময় একটি ঘর তোলা হয়েছিল। ফুলবাড়ি প্রথামিক বিদল্যায়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে নাম থাকা রোমানা সুলতানা জানান,এক সময় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল স্কুল করার। পূর্ব কুশখালি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী হিসেবে নাম থাকা জিতেন্দ্র নাথদাস জানান,বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিক্ষক হিসেবে তার নাম দেওয়া হয়েছিল হয়তো।তিনি কিছু জানেন না। বালিথা পশ্চিমপাড়া ও বঙ্গবন্ধু শিমুলবাড়িয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও অস্তিত্ব মেলেনি।
অস্তিত্বহীন এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দেখানো হয়েছে বাঁশদহা ইউনিয়নের মো:সোহরাব হোসেনকে। অভিযোগ,ওই সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি
পপিমিএমআইএস অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য সংযোজন করেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গণি পিমিএমআইএস অনলাইনে ভূয়া তথ্য সম্পর্কে বলেন, ওই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো সরকারি হওয়ার কোনো সূযোগ নেই। তিনি সাতক্ষীরায় যোগদান করার আগে অধিদপ্তরের সফটওয়ারে ওইগুলো ছিল। কিন্তু আর সরানো হয়নি। এবার সরিয়ে ফেলবেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমি জানান, তিনি কয়েক
মাস আগে এসেছেন।কাগজপত্র যাঁচাই বাছাই করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd