গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে উড়েছিল লাল-সবুজের পতাকা। সাবিনা খাতুনদের হাত ধরে এসেছিল সাফের ট্রফি। দেশে ফেরার পর পুরো দলকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনার সঙ্গে অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকটি দিয়েছে, আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনও প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি। এ নিয়ে অসন্তোষ বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের মধ্যে। এর সঙ্গে টাকার অভাবে প্যারিস অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমার সফর বাতিল হওয়ায় আরও মন খারাপ সাবিনাদের। এসব কারণে দু’দিন ক্যাম্পে যাননি জাতীয় সিনিয়র দলের নারী ফুটবলাররা। নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশে আসার দিনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ৫০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। বিসিবির এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকও চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। অন্য পুরস্কারগুলো হাতে পেলেও ছয় মাসেও দেশের শীর্ষ ক্রীড়া বোর্ড এবং বাফুফের দুই শীর্ষ কর্তার ঘোষিত অর্থ হাতে পাননি সাবিনারা। এতেই ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে ফুটবলারদের মধ্যে। কমলাপুরে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় অনুশীলন করতে যাননি জাতীয় দলের ফুটবলাররা। যদিও এ ব্যাপারে কেউই মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিশ্রুত অর্থ না পাওয়াতে ফুটবলারদের মনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে দু’দিন অনুশীলন করেননি মেয়েরা। জাতীয় দলের মেয়েদের অনুশীলন না করায় হতাশ হয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। যদিও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। সাবিনাদের জন্য ঘোষণাকৃত বোনাসগুলো ব্যক্তিগত, ভিন্ন প্রতিষ্ঠান হলেও ফেডারেশন সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। সেটা করতে গিয়েই সময়ক্ষেপণ হয়েছে। তবে অভিমান ভুলে অনুশীলনে ফিরলেও বাংলাদেশের নারী ফুটবলে যে অসন্তোষ চলছে, তা স্পষ্ট।
Leave a Reply