ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, সমতলের আদিবাসীরাও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদেরও দাবি-দাওয়া আছে। এছাড়া দেশে গরিব, সাধারণ ভূমিহীন আছেন, তাদেরও দাবি-দাওয়া আছে এবং এ দাবিগুলো যৌক্তিক। তাদের সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অন্যরা বড়লোক হচ্ছে। আর তারা জমি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। এটা অন্যায়, এ অন্যায় থেকে মুক্তি পেতে হবে।
শনিবার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে দেশবাসীর দায় ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন’ এ সভার আয়োজন করে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, শান্তি চুক্তির সময় পার্বত্যাঞ্চলের আদিবাসীরা ভেবেছিল তারা একটি যুদ্ধাবস্থা থেকে ফিরে এসেছে। তারা চুক্তিটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছিল।
সভায় অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে আমরা শান্তি চুক্তি বলেছি। তার মানে চুক্তির আগে পাহাড়ে অশান্তি ছিল। তিনি বলেন, তৎকালীন সরকার পাহাড়ে বাঙালিদের মেজরিটি করে পাহাড়িদের প্রান্তিক করার চেষ্টা করেছিল। এভাবেই পাহাড়ে সংঘাত বাঁধানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
সিপিবি নেতা দিবালোক সিংহ বলেন, সমতল আদিবাসী, পাহাড়ি আদিবাসী ও মেহনতি জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন একই সুতোয় গাঁথা।ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন বলে, পাহাড় থেকে বাঙালি সেটেলারদের ফিরিয়ে এনে আদিবাসীদের জমি ফেরত দিতে হবে।
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক শর্তের কোনোটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে পাহাড়ে খুন-খারাবির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে কুকি-চিন নামীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা রাষ্ট্রের কোনা না কোনো অংশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাহাড়ে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন।
Leave a Reply