সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চা’র তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চা। আজ ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল সাড়ে ১১টায়, সেগুনবাগিচাস্থ আ ফ ম মাহবুবুল হক মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন এর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল চৌধুরী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ-সভাপতি বিপ্লব ভট্টার্যাচ্য প্রমূখ।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সারের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। গত বছর আগস্টে কেজিতে সারের দাম বাড়িয়েছিল ৬ টাকা। আট মাসের ব্যবধানে আর্ন্তজাতিক সংস্থার ছাপে আবারো সারের দাম বাড়ানো হলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েই চলছে। এমনিতেই অর্থনৈতিক দুরবস্থায় বর্তমানে জনজীবন বিপর্যস্ত। এখন আবার সারের দাম বৃদ্ধি করে সরকার দেশের অর্থনীতির প্রধান উৎস কৃষিখাতে চাপ সৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে। সারের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কৃষির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এর ফলে কৃষকের দুর্ভোগ আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সারের মূল্য বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে’ সংসদে যে বিল উত্থাপন করা হয়েছে তা শ্রমিকদের অধিকার হরণের শামিল। জননিরাপত্তার নামে শ্রমিকের অধিকার হরণ করার নয়া কৌশল এই বিল। এটি বিশ্বে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও জাতীয়ভাবে সংবিধান ও শ্রম আইনে সংরক্ষিত বিধানের খর্ব করা ছাড়া আর কিছু নয়। নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার বিল প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *