সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টার মামলার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার প্রতিপক্ষ কুচক্রী মহলের ইন্ধনে শেখ পাড়া গ্রামের শেখ মশিয়ার রহমান কুরাইশির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী আরাফাত আলী এবং তার সহযোগী দুদলী গ্রামের শাকিল আহমেদ গাজীর পুত্র জিএম মামুনকে আমার পিছে লেলিয়ে দেয়। আমার সতীন মর্জিনা খাতুন বাড়িতে অবস্থান করায় তাকে খারাপ আখ্যা দিয়ে আমর ও আমার স্বামীর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা ও অনৈতিক সুবিধা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০২২ সালে ১৪ নভেম্বর মামুন ও আরাফাত আমার বাড়িতে লোক নিয়ে মিথ্যা অপবাদে হামলা করে। পুলিশ ফোর্স আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমদের থানায় এনে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে আমাদের ছেড়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই মাসের ২৩ তারিখে রাত ৮টায় আমার বাড়ির সামনে এসে আমার স্বামীকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে বাড়িতে পানি পানের নামে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তীতে আমার দুই প্রতিবন্ধী কন্যা ভয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশি আরশাদ, নাসির, সালমা ছুটে এলে তারা দুজন মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিশেষ আদালতে ৯(৪)(খ) ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় একটি মামলা করি। যা থানায় এজাহার হিসেবে নিয়ে ১৭৩ ধারায় পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। যার মামলা নং ৪, তারিখ ৯জানুয়ারি২০২৩খ্রিঃ।
উল্লেখ্য, আরাফাত আলীর ভাই মাদক সম্্রাট রাফু কুরাইশী সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন মামলার আসামী। তার মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ করার জন্য আরাফাত আলী ও জি এম মামুনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। মামলা হওয়ার পরও উক্ত আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি বিধায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অন্যদিকে আমার ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করছি।’ তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ধর্ষন চেষ্টার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী মাজেদা বেগম।
Leave a Reply