সাতক্ষীরার আমের সুনাম ধরে রাখতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নানা উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরা সদর এলাকার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখানে কৃষক নিরাপদ আম তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে আসছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। যে কারনে সাতক্ষীরার আম দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাতক্ষীরার আমের দীর্ঘদিনের সুনাম ধরে রাখতে এবং নিরাপদ আম সারা দেশে পৌছে দিতে নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ইয়াছির আরাফাত। চাষীরা যাতে অধিক লাভবান হতে পারে সে লক্ষে নিরাপদ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
কৃষি বিভাগ জানান, এবছর সাতক্ষীরা থেকে ২০০ টন আম বিদেশে যাওয়ার লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ নিয়ে কৃষকের ডাটাবেজ তৈরি করেছেন পৌরসভা ব্লকের মো: ইয়াছির আরাফাত। ডাটাবেজ ধরে ব্লকের প্রত্যেক কৃষকের বাগানে বাগানে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। আম ভোক্তা পর্যায়ে যাওয়ার ৪৫ দিন পূর্বে কীট নাশক মুক্ত রাখতে হয়। সে লক্ষে কৃষক সচেতনতার পাশাপাশি কঠোর বিধি নিষেধ বিষয়ে কৃষকদের অবগত করছেন। এছাড়া অতিরিক্ত সার যাতে ব্যবহার না করে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফ্রুটস ফ্লাই দমন করার জন্য ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার, ইয়োলো ট্রাপ ও আমের ব্যাগিং করে নিরাপদ বালাইনাশক মুক্ত আম উৎপাদনে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া আমের গুটি মার্বেল দানার মত হলে সম্পূরক সেচ দিতে হয়। এই সেচ দেওয়ার পূর্বে সুষম মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হলে আম অনেক বড় হয় ও গুটিঝড়া কমে যায়।
সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার আম চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আম বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করে সার, কীটনাশকের ব্যবহার ও পরিচর্যা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। গড়েরকান্দা গ্রামের আম চাষী মো: সায়েদুল ইসলাম বলেন, গত বছরে আমরা বেশি আম বিদেশে না পাঠাতে পেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। এবার যাতে চাষীরা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষে কাজ করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ইয়াছির আরাফাত।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *