নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরাতে ম্যানগ্রোভ গত ২৩ মার্চ সভাঘরে একটি সৃজনশীল ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল। আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘ ৬৭ বছর : অনেক কথা’ অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সাথে কথোপকথনে আমরা ম্যানগ্রোভ । অনানুষ্ঠানিক আয়োজনমালার আনুষ্ঠানিকতার সুত্রপাত ঘটান ম্যানগ্রোভ এর স্বত্যাধিকারী কবি প্রকাশক স ম তুহীন। বলেন প্রচলিত ধারার বাইরে এসে আমরা একজন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিতের বর্ণাঢ্য জীবনের কথা জানবো তার সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে। অতিথি মঞ্চের সে রকম নির্দ্ধারিত অতিথি না হলেও আলোচ্য ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বয়সের তিনজন গুনি ব্যক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবীদকে সম্মানত অতিথির আসনে পেয়ে নিজেরাই গৌরাবান্নীত হয়েছি। সাতক্ষীরার সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জাসদ কেন্দ্রিয় উপদেষ্ঠা বীরমুক্তিযোদ্ধ কাজী রিয়াজ, বধ্যভুমি সংরক্ষন কমিটি ও জেলা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার এবং সাতক্ষীরা প্রবীন শিক্ষাবীদ সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল হামিদ।
কথাপোকথনে অংশ নেন কবি সুফিউল্লাহ ফারুকী(আবু কাজী), নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এড. আযাদ হোসেন বেলাল, বাসদ সংগঠক নিত্যানন্দ সরকার, জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি শেখ ওবায়েদ সুলতান বাবু, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ইুদ্রস আলী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা প্রধান প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, বাসদ (মাক্সবাদী) নেতা চিত্তরজ্ঞন সরকার, এড. খগেন্দ্র নাথ সরকার, শিক্ষক নেতা ও সনাক সভাপতি অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাশ, সাতক্ষীরা দিবানৈশ্য কলেজের উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ময়নুল হাসান, ব্যঘ্রতটের প্রধান ও দৈনিক ডেইলী সাতক্ষীরা সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেতা নূর মোহাম্মদ পাঁড়, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, সীমান্ত আর্দশ্য কলেজের অধ্যাপক ও ক্যাব সাতক্ষীরা সদরের সভাপতি হাবিবুর রহমান, উদীচী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জাসদ জেলা সাধারন সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর, সাংগঠানক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, কবি , অধ্যাপক কৃষ্ণপদ সরকার, কবি মোকাম আলী খাঁন, কবি মন্ময় মনির, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক পত্রদূতের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সরদার মধু, প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি কেডি, সেতুর কর্মসুচি সমন্বয়কারী আব্দুল করিম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ পাইক মন্ডল, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সহ-সম্পাদক আবু হাসান প্রমুখ।
সভায় আলাপচারিতার মধ্যদিয়ে বলা হয়, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী একজন মুক্তমনের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ব্যক্তি। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম কাতারে সবসময় থাকেন। তারুন্যদিপ্ত এ মানুষটি পরিবেশবাদী ও নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতা। ব্যক্তিগত আকাংখামুক্ত সামাজিক মালকানায় বিশ্বাসী সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্ররাম্ভে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ৬৭ বছর সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য।
Leave a Reply