স্পোর্টস ডেস্ক: চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার আগের মেয়াদেও স্রোতের বিপরীতে গিয়ে দলে নিয়ে এসেছিলেন জুবায়ের হোসেন লিখনকে। যদিও ছুড়ে ফেলতেও খুব বেশি সময় নেননি বাংলাদেশের প্রধান কোচ। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েই ফের লেগস্পিনারের চাহিদাপত্র নির্বাচকদের কাছে পেশ করলেন। কোচের চাহিদাপত্র হিসেবে রিশাদ হোসেনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেন নির্বাচকরা। শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৮০তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় রিশাদের।
২০১৪ সালে হাথুরুসিংহের অধীনেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল লিখনের। ৬টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে এবং একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলা লিখন শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শেষমেশ ফিটনেস ইস্যুতে সবখানেই সুযোগ হারান এই লেগস্পিনার।
লিখনকে বিদায় বলার পর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে নিয়েও চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে ফেলেন তিনি। এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার একেবারে খারাপ করেননি। ১০ ম্যাচে ১২ উইকেটের পাশাপাশি ৩৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবুও ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয় ২৩ বছর বয়সী তরুণ এই লেগস্পিনারকে।
বিপ্লব অধ্যায় শেষ করে শুক্রবার ফের লেগস্পিনার যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স নেই রিশাদের। তাছাড়া অন্য লেগস্পিনারদের মতো তারও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০ বছর বয়সী রিশাদ ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ছাড়াও ১৩টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং একটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম শ্রেণিতে পেয়েছেন ১৯ উইকেট আর টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ৬ উইকেট। কুড়ি ওভারের ক্রিকেট একেবারেই হতশ্রী পারফরম্যান্স। এমন পারফরম্যান্সের পরও তার মধ্যে অপার সম্ভাবনা দেখছিলেন নির্বাচকরা। সব সময়ই রিশাদ ছিলেন জাতীয় দলের আশপাশে, নেটেও নিয়মিত বোলিং করছেন।
এবার ৮০তম ক্রিকেটার হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে রিশাদকে ক্যাপ পরান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাকে দিয়ে আরও একবার লেগস্পিন যুগে প্রবেশ করলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এদিন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে বিশ্রাম দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাকে। ৮ বছর পর যেন লিখন আর রিশাদ এক বিন্দুতে এসে মিলিত হয়েছেন। লিখনের মতো তার ক্ষেত্রেও পারফরম্যান্স বিবেচ্য হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু না করেই রিশাদের সুযোগ হলো। এখন দেখার অপেক্ষা তার প্রতি এই আস্থা কতদিন থাকে হাথুরুসিংহের? নাকি লিখনের মতো একই ভাগ্য বরণ করতে হয় রিশাদকে!
Leave a Reply