1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰তালায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও সমাধানের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা📰সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী মাজেদ গংয়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনি সরকারি কলেজে  অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত📰আশাশুনিতে মানব পাচার প্রতিরোধে ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ মিটিং অনুষ্ঠিত📰আশাশুনি ও শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভা 📰ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব📰দেখে নিন ঈদের দিন আপনার এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে কিনা📰পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে যেসব পরিবর্তন আসছে📰নতুন নোট বিতরণ শুরু📰ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

বারোমাসি আম চাষে সফল বাগআঁচড়ার নুর ইসলাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২৯৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে


হুমায়ন কবির মিরাজ, শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: বারোমাসি আমচাষে সফল হয়েছেন শার্শার বাগআঁচড়া পিপড়াগাছি গ্রামের নার্সারী মালিক নুর ইসলাম। গাছে বারো মাস ধরে এই আম। এই জন্য এই জাতের নাম বারি-১১ আম। ১২ বিঘা বাগান হতে এবার অসময়ে কয়েক লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছেন। বাগানের গাছে এখন ভরপুর আম রয়েছে। আগামীতে আম বিক্রি করে অধিক লাভের আশা করছেন নুর ইসলাম।

নুর ইসলাম জানান, তিনি ছিলেন একজন কুল ব্যবসায়ী। কুলচাষে অনেক খরচ। লাভ হয় কম। তখন সেই কুল চাষ বাদ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফল গবেষনা কেন্দ্রের মাধ্যমে বারি-১১ আম চাষে নেমে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে সে চারটি চারা রোপন করে। এতে সে প্রচুর পরিমানে ফলে দেখে তাক লেগে যান। পরবর্তিতে নুর ইসলাম তার নার্সারিতে নিয়ে চারা কলম করে এখন ৯ বিঘা জমিতে এ আমের চারা রোপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নুর ইসলাম। তিনি প্রতি কেজি আম ৪০০থেকে ৫০০ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান।

তিনি জানান, কলম চারা দিয়ে নুর ইসলাম উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের মাঠে ৩ বিঘা কাটিমন ও ৯ বিঘা বারি-১১ আমবাগান গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৪০০ টির মতো গাছ রয়েছে তার বাগানে। বাগানের বয়স এখন ৪ বছর। তার নার্সারীতে বিক্রির জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত থাই বারোমাসি আমের চারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছের বোটায় থোকাই থোকাই আম ঝুলছে। কোনটাতে পাক ধরেছে, আবার কোনটা কাঁচা। কোন গাছে মুকুল ধরেছে, আবার কোনটাতে গুটি। বছরে তিন বার ফল দিচ্ছে এ গাছ। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ৩ বারে গড়ে ৪০কেজির মতো আম পাওয়া যাচ্ছে। অসময়ে উৎপাদিত হওয়ায় এ আমের দামও চড়া। থাই বরোমাসি আম পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। দেখতে আকারে অনেকটা আম-রুপালি আমের মত। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। আঁটি আকারে অত্যন্ত ছোট ও পাতলা। উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নুর ইসলাম।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান,ফল উৎপাদনে শার্শা উপজেলা একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা।সেরকম একটি ফল হচ্ছে আম।এখানে প্রায় ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদিত হয়। গতানুগতিক ধারায় এই উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে থাকে।যার মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম রুপালি অন্যতম। কিন্তু একটি নতুন জাত বারি-১১ আম চাষ হচ্ছে। যে আমটি সারা বছর ব্যাপি উৎপাদিত হয়ে আসছে। বাগআঁচড়ারার নুর ইসলাম এটি তৈরী করেছেন। এটি দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য একটি জাত। এ আম খেতে অত্যন্ত সুমিষ্ট। ঘ্রাণও সুন্দর। আমের খোলার নিচের অংশ খুব শক্ত হওয়ায় ঘরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যায়। এ আম চাষে কৃষক লাভবান হবেন বলে তিনি অশা করছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd