দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ছাত্রলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ আশা প্রকাশ করেন। ড. হাছান বলেন, ‘আজকে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সবাইকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’  
‘বাংলাদেশের ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সবক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে। সেটিই আমার প্রত্যাশা।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আগামী কর্মসূচির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির সকল কর্মসূচির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবো, প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকবো এবং এই দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেবো না।’

তথ্যমন্ত্রীর সাথে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ:  
এর আগে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা  সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, কানেকটিভিটি এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লী ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিমবাংলায় দেখাতে পারে না। মূলত সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছরপ্রতি কোটি টাকা দাবি করে, যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। সে প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বায়োপিক, দু’দেশের যোগাযোগ বিশেষ করে আগরতলা, আখাউড়া ট্রেন রুটের অগ্রগতি, আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলোতে ভারতের বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান  বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক এবং সেই সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য এবং নাগরিকরা আমাদের সাথে জীবন দিয়েছে। সুতরাং দু’দেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ কিভাবে আরো বৃদ্ধি করা যায়, অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যায় কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হয়, সেটিকে আরো কিভাবে সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং হাইকমিশনার এ সকল বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলেছেন।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *