স্বপ্নের মেট্রোরেল এখন বাস্তব। আজ বুধবার মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রবেশ করে গণপরিবহন ব্যবস্থার এক নতুন যুগে।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চারটি মাইলফলক অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সেগুলো হলো-
১. মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক।
২. মেট্রোরেলের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করেছে দেশ।
৩. মেট্রোরেল পরিচালিত হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ফলে এটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
৪. মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুত গতির ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার আগে বেলা ১১টায় বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সরাসরি সুধী সমাবেশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক দিতে পারলাম, এটাই বড় কথা। অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাইকে তা ব্যবহারে যত্নশীল হতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় সকল জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম।
শেখ হাসিনার আগে ভাষণ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ অতি আনন্দের দিন, রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের দিন। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যে আরেকটি পালক যুক্ত হলো।
তিনি বলেন, যতদিন এ বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, পাখি গান গাইবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম এ বাংলায় মুছবে না।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরার পাঁচ নম্বর স্টেশন থেকে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশনের তৃতীয় তলায় ওঠেন। সেখানে গিয়ে সবুজ পতাকা ওড়ালে প্রথম ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। তারপর দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ২ নম্বর বগিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ট্রেনটি উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক চলা শুরু করে মেট্রোরেল। বেলা দুইটা ১০ মিনিটে ট্রেনটি আগারগাঁওয়ে পৌঁছায়।
এ সময় দুই শতাধিক যাত্রী হিসেবে তার সঙ্গী হন। প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
Leave a Reply