1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত📰প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি📰হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস📰পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা📰সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন📰জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 📰সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা📰জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির📰দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক📰চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে

খুমেক হাসপতালে রোগীর চাপে মেঝেতেও জায়গা ফাঁকা নেই

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৫৮৫৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। এই হাসপাতালে সাধারণ সময়েই অনেক রোগীর চাপ থাকে। এদিকে বর্তমানে দেশের ঘটছে ঋতু পরিবর্তন। এই সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। ফলে বেড সংকটের পাশাপাশি পুরো চিকিৎসাসেবায় নেমে এসেছে ভোগান্তি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সিট না পেয়ে বারান্দার ফ্লোরে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনের সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠতেই দেখা যায় বারান্দার ফ্লোরের দুই পাশে অসংখ্য মানুষ শুয়ে-বসে রয়েছেন। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তারা আড্ডা বা খোশগল্পে মজে আছেন। কিন্তু কাছে যেতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সেখানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ পাটি ও কাঁথা বিছিয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। শুধু দ্বিতীয় তলায়ই নয়, গোটা হাসপাতালের বারান্দা-জানালার পাশে রোগী ও তার স্বজনরা এভাবেই অবস্থান নিয়ে সেবা গ্রহণ করছেন। মেডিসিন ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটের বারান্দা, সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে, ২, ৩, ৪ ও ৫ তলায় লিফটের সামনে, ব্লাড ব্যাংকের সামনের বারান্দা, চিকিৎসকদের কক্ষের সামনের মেঝেতেও শুয়ে আছেন অসংখ্য রোগী। মাঝখানের এক-দেড় ফুট খালি জায়গা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের লোকজন। এতে ধুলা উড়ে রোগীদের নাক, মুখ, চোখ ও খাবারের মধ্যে যাচ্ছে।
রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে শয্যা নেই। ফলে বাধ্য হয়েই মেঝেতে অবস্থান নিতে হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে অবকাঠামো আর শয্যা সংকটে বাধ্য হয়েই রোগীদের ফ্লোরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চিকিৎসকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনই কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতালের চিকিৎসক সিহাব হোসেন বলেন, বেড বাড়ানো প্রয়োজন। বেড বাড়লে অবশ্যই রোগীদের জন্য সুবিধা হয়।
বেড সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীর স্বজনদের যেন অভিযোগের অন্ত নেই। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হলেও বেশিরভাগ নির্ভর করতে হয় বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ওপর। দালালের উৎপাত তো রীতিমতো সীমার বাইরে। হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে রয়েছে দালাল চক্রের অত্যাচার।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট ডা. মো. নিয়াজ নওশেদ বলেন, মূলত যন্ত্রপাতি কম, কিছু মেশিন নষ্ট, পরীক্ষার কিট ও জনবল সংকটের কারণে সব পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ১৫০০ ঊর্ধ্বে রোগী থাকছে। অর্থাৎ ৩০০ শতাংশের বেশি রোগীর সেবা দিচ্ছি। আমাদের সকল রোগীকে বেডে সংকুলান করতে পারি না, যার কারণে কিছু রোগী সবসময় ফ্লোরে থাকছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বেডের অভাবে রোগী ফ্লোরে রাখছি। কিন্তু আমরা কাউকেই চিকিৎসা বঞ্চিত করছি না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতাল। এখানে খুলনা ছাড়াও পিরোজপুর, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জের রোগী আসেন। কোনো রোগীকেই কিন্তু ফেলে দেওয়ার নয়। আমাদের সব রোগীকেই ভর্তি করতে হয়। সবারই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ৫০০ শয্যা অনুযায়ী হাসপাতালের জনবল কাঠামো। আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নেই। শয্যাসংখ্যা কম থাকায় বাধ্য হয়েই অনেক রোগীকে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের ২৮৮টি পদের মধ্যে ৯২টি পদ খালি। অন্যান্য পদ শূন্য রয়েছে ৪৩টি। দুটি অপারেশন থিয়েটারে টেবিল রয়েছে আটটি। এ অবস্থায় ভর্তি থাকা প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগীর পাশাপাশি বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। জনবল কম ও অবকাঠামো সমস্যা। রোগীরা বারান্দায়-মেঝেতে শুয়ে আছে। এটাতো আমাদের কাছেও ভালো লাগে না। সে জন্য আমরাও খুব কষ্টের মধ্যেই আছি। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন, স্টাফরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে আমরা সবসময় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যেতে পারি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd