সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় এবং অসহায় দরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা লংঘন করে জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে সর্ব মোট ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৭৫ টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় সাতক্ষীরার আশাশুনি ৮ নং খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫/২০২২। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা সরবত হত্যাসহ অপর দু’টি চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গত ১৭ নভেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পত্র প্রেরণ করেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিলিষ্ট সচিবকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অপদিকে দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের বিচার ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দ্রুত অপসারনের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক কর্তৃক পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তার জন্য দরিদ্র ও দুস্থ্য পরিবারের সাহায্যার্থে বরাদ্দকৃত দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও পবিত্র ঈদ-উল ফিতর/২০২১ উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় মোট বরাদ্দকৃত কার্ডের বিপরীতে ৪৬৯ জন অস্তিত্ববিহীন ভূয়া ব্যক্তির নাম দিয়ে প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ টাকা হারে মোট দুই লাখ ১১ হাজার ৫০ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মৃসূচীর আওতায় অসহায় দরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা লংঘন করে একান্নভূক্ত পরিবারের তালিকায় ৫২১ জনের নাম তালিকাভূক্ত করে মোট ৪৫০ টাকা হারে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার অর্ধেক টাকা এবং একান্ন ভূক্ত পরিবার হওয়ায় ৫০% ব্যক্তিকে আদৌ টাকা প্রদান না করে মাষ্টাররোলে জাল টিপসই প্রদান করে ১ লাখ ১৭ হাজাার ২২৫ টাকাসহ সর্ব মোট ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৭৫ টাকা প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ বিলিবন্টনের নামে দূর্নীতির মাধ্যমে উত্তোনপূর্বক আত্মসাৎ করে। যা দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের ২ নং দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান শাহনেওয়াজ ডালিম একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে আওয়ামীল নেতা সরবত হত্যাসহ আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জেছমিন নাহারের নিকট চাঁদাবাজি মামলা ও একই গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মুনঞ্জুরুল ইসলামের ঘেরে বোমা হামলা চালিয়ে মাছ লুটের ঘটনার বিস্ফোরক দ্রব্য আহনের মামলারচার্জশীট ভূক্ত আসামী। এই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম ছাড়াও ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানী মন্ডল,তার স্বামী উত্তম কুমার মন্ডল ও ইউপি সদস্য হোসেন আলী, রামপদ সানা,সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল,সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল জলিলসহ ১২ জন আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমকে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরখাস্ত এবং শাস্তির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
Leave a Reply