বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, গণমুক্তি ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, কমিউনিস্ট ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ এর সভাপতি মাসুদ খান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির মাধ্যমে শাসক দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা পুর্ণদখল করেছিলো। ভারত ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমুহের মদদে ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ও ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করেছে।
বুর্জোয়াশ্রেণির কোন অংশ রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে জনগণকে শাসন-শোষণ করার বৈধতা পাবে, সেটা নির্ধারণ করার জন্যেই বুর্জোয়া শাসনব্যবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের নিজেদের তৈরি নির্বাচন-ব্যবস্থাকেও আওয়ামী লীগ নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরেও রুশ-মার্কিন দ্বদ্ধ দৃশ্যমান হয়েছে।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভবিষ্যতে আর একটা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। সভা-সমাবেশে বাধা, গ্রেফতার-নির্যাতন ও গায়েবি মামলায় হয়রানি করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কোনঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এ পরিস্থিতিতে মুক্তিকামী শ্রমিক কৃষক জনগণের লড়াই-সংগ্রাম ও অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটাতে হবে। সে লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে আমরা দেশের সব বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহ্বায়ন জানাই।
Leave a Reply