আগামী মার্চের মধ্যে খানা আয় ও ব্যয় জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ জরিপ করছে। দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। গত ১ জানুয়ারি এ কার্যক্রম হয়।
দারিদ্র্য পরিস্থিতি, মাথাপিছু মাসিক আয়-ব্যয়, ভোগের তথ্য এবং এসব বৈষম্যের চিত্র জানা যাবে।
প্রতি পাঁচ বছর পরপর খানা আয় ও ব্যয় জরিপ হওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে করোনার কারণে এবার ছয় বছর পর এ জরিপ হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ জরিপ করা হয়। এতে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এবারের জরিপে কিছু নতুন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ল্যাপটপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের খাদ্যগ্রহণের সঠিক তথ্য পেতে তথ্য সংগ্রহকারীরা ওজন পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করেছেন।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে নতুন কিছু প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার ও করোনার টিকা সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ গতকাল সমকালকে বলেন, জরিপের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা পর্যন্ত সব পর্যায়ে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply