সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরারা তালার কুমিরায় অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মন্দির ভাংচুরের কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই সম্পত্তিতে কখন মন্দির ছিল না। ধর্মীয় ইস্যু সৃষ্টি করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে কুমিরা গ্রামের গৌতম দে গং। গৌতম দের দায়ের করা কল্পিত মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়েছে কুমিরা গ্রামের রেজাউল সরদারসহ তার পরিবার। রেজাউল সরদার মিথ্যা মামলার হাতথেকে রক্ষাপেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের মৃত মো: জামাল উদ্দীন সরদারের ছেলে মো: রেজাউল সরদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন কুমিরা মৌজায় ১০২২ খতিয়ানে ৪১১৭, ৪১২১, ৪১১৯, ৪১৩৭, দাগে ৬.৭০ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছিলাম। উক্ত সম্পত্তিতে কালিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন ট্রাই: ৮১৬/২০১২ নং মামলায় গত ইং ০২/১০/২২ তারিখে আমাদের পক্ষে রায় ডিক্রি হয়। উক্ত আদালত ডেপুটি কমিশনার সাতক্ষীরাকে আগামী ৯০দিনের মধ্যে উক্ত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্তির নির্দেশ দেন। উক্ত সম্পত্তিতে আমাদের পারিবারিক কবরস্থান, পাঞ্জেগানা, বসতবাড়িসহ দোকানপাটও রয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিল একই এলাকার গৌতম দে গং। কিন্তু আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় ডিক্রি হওয়ার পর থেকে মৃত. সুনিল কুমার দের পুত্র গৌতম কুমার দে এবং সহযোগিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। উক্ত সম্পত্তিতে তাদের কোন শর্ত না থাকার পরও শুধুমাত্র অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে গৌতম কুমার দে গং নানা চক্রান্ত শুরু করে। এর জের ধরে গত ০২/১২/২২ তারিখে গৌতম কুমার দের নেতৃত্বে কার্তিক দে, স্বপন দে, বাবুল দে, সাগর দে, পিং- কার্ত্তিক দে সহ ভাড়াটিয়া ২০০/২৫০ জন ব্যক্তি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে আমাদের বসতবাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে এবং নতুন ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এতে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ আমার দুই ভাই এবং মামাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিন দিয়েছেন।
মিথ্যা মামলায় আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন তারা। এমনকি আমাদের ফাঁসাতে ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উপস্থিত হয়ে আমরা তাদের বাড়িঘর এবং মন্দির ভাংচুর করেছি মর্মে সংবাদ সম্মেলন করে। অথচ উল্টো তারাই আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। আর সেখানে কোন মন্দির ইতোপূর্বেও ছিলোনা। বর্তমানেও নেই বা বসত ঘরও নেই। তাহলে ভাংচুর কিভাবে হল? শুধুমাত্র সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মন্দির ভাংচুরের কাল্পনিক মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। আদৌ ওই সম্পত্তি গৌতম দের ভোগদখলে ছিলো না এবং নেই।
Leave a Reply