নিজস্ব প্রতিনিধি: স্নাতকে (বিএ) অসাধারণ ফলাফলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ – প্রিন্সিপাল খালেদা হাবিব স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের উত্তর কুশখালী গ্রামের মো. আলমামুন হোসেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদ এর কাছ থেকে এ স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন তিনি।
অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আব্বু ও আম্মুর খুবই ইচ্ছে ছিলো বড় ভাইয়াকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর। কিন্তু ভাইয়া তাদের স্বপ্নকে পূরণ করতে পারেনি। সেদিন মনে হয়েছিলো, ইশ! আব্বু-আম্মুর স্বপ্নকে যদি সবকিছুর বিনিময়ে হলেও পূরণ করতে পারতাম! অবশেষে ঢাবিতে চান্স পেয়ে গেলাম, সেদিন আমার আব্বু- আম্মুর মতো খুশি আর কেউ হয়নি।নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি মনে হয়েছিলো তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে পারায়। তাই আমি আমার এই কৃতিত্ব আব্বু-আম্মুকে উৎসর্গ করতে চাই।
আলমামুন হোসেন ২০১৪ সালে কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে সাতানী ভাদড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভর্তি পরীক্ষায় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়ার সুযোগ পান। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
মো. আলমামুন হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ২০২০ সালে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেন। তাছাড়া লেখক হিসেবে কবিতা ও ছোটগল্পে তিনি অসাধারণ দক্ষতার ছাপ রেখেছেন।
তার লেখা কবিতা ও গল্প বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং জাতীয় পত্রিকাসহ ভারতের কয়েকটি পত্রিকাতেও তার লেখা নিয়মিত ছাপা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাহিত্য সংগঠন ‘দুর্জয় বাংলা’ এর এডমিন ও অন্যান্য সাহিত্য সংগঠনের সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
ছাত্রজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। আলমামুন হোসেন তার নিজ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব সাতক্ষীরা (ডুসাস) এর সহ-সভাপতি হিসেবে বর্তমান দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সূর্যসেন হলের বাংলা বিভাগের সংগঠন ‘সূর্য বাংলা সাহিত্য ও সংঘ’ এর সহ সভাপতি ছিলেন।
Leave a Reply