1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনির খাজরা হাট বাজারের  ইজারা গ্রহিতার সাব ইজারা হস্তান্তর📰সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক📰বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 📰ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর মানববন্ধন📰আশাশুনি জামায়াতের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির

আজ ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর মুক্ত দিবস

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৩৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর শ্যামনগরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম যুদ্ধে মুক্ত অঞ্চল হওয়ার গৌরবান্বিত হয় শ্যামনগরবাসি।

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলার সর্বশেষ সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগরে ১৯৭১ সালের ১৯ আগস্ট পাক বাহিনীর অর্তকিত আক্রমনে প্রাণ হারায় ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে সুবেদার ইলিয়াস, আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ। এ দিনে আরো কয়েক জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। আকষ্মিক এ আক্রমণের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। গেরিলা যুদ্ধের কেীশল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা লে: মাহফুজ বেগের নেতৃত্বে শ্যামনগর সদর থেকে ক্যাম্প পিছিয়ে নেয়। আর এ দিন থেকে পাক বাহিনী স্থায়ীভাবে ঘাটি গাড়ে শ্যামনগরে। এ সময় থেকে টানা ৩ মাস পাকবাহিনী শ্যামনগর দখলে রাখে এবং এ সময়ে তাদের হাতে প্রাণ হারায় কয়েক জন নিরীহ বাঙালি।

শ্যামনগরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আবুল হোসেন জানান, টানা তিন মাসে পাক বাহিনী শ্যামনগর সদরে ৫/৬ বার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তৎমধ্যে শ্যামনগর পাক হানাদার ঘাটিতে এক দিনে চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এমবুশ করে এবং টানা ৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাক সেনা ৪জন নিহত হয়। এ সময়ের মধ্যে শ্যামনগরের কৈখালী, ভেটখালী, হরিনগর, রামজীবনপুর, গোপালপুর পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। জানা যায় কৈখালী ও হরিনগর এলাকায় নৌকমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা বাহিনী যৌথভাবে টানা তিন ঘন্টা ভয়াবহ যুদ্ধে অংশ নেয়।

শ্যামনগর বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ও ১৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে শ্যামনগর ত্যাগ করে। পর পরই মুক্তিযোদ্ধারা এসে শ্যামনগর দখল নেয়। এরপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আলোচনাসভা, দোয়া অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল বলেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আক্তার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল । আরও জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ লাঠি খেলা, বাদ্য-বাজনার আয়োজনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd