আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। উল্টো সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তেহরান। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি বলেন, তার দেশের তরফে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের বিষয়ে প্রকাশিত খবরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পশ্চিমা উৎস থেকে এগুলো ছড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন নাসের কানানি। তার ভাষায়, ‘আমরা যুদ্ধরত দেশগুলোর কোনও পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করিনি।’
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে দেশটির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তরফে আরও নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবর্ন। ইইউ-এর পদক্ষেপ শুধু কিছু ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বেয়ারবক বলেছেন, আন্দোলন দমনের নামে যারা ইরানের নারী, পুরুষ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের ওপর নিষেধজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা আমিনি (২২) ইরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে কঠোর পোশাকবিধি বাতিল এবং নারীদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এখন ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতেও আন্দোলন চলছে। এরমধ্যেই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ইরানি ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, সোমবারও ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন নিয়ে কিয়েভে সিরিজ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত চার দফায় এই হামলা চালানো হয়। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
Leave a Reply