ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি স্থলে উঠে এলেও এখনো শক্তিশালী অবস্থায় আছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে বৃষ্টি অব্যাহত আছে। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর রাজধানীতে বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও মধ্যরাত থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এখনো বৃষ্টি অব্যাহত আছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ আগের কয়েক দিনের তুলনায় কম।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমি. বা তারও বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১২১ মিলিমিটার। এ ছাড়া ঢাকায় ৫৩, চট্টগ্রামে ৯৩, সিলেটে ৩৭, রংপুরে ১০, রাজশাহীতে ১৪, খুলনায় ৪৯ এবং বরিশালে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের প্রায় বেশির ভাগ অঞ্চলে এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আজ সারা দিন। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। এটি আগামীকাল আরও কিছুটা কমে আসতে পারে। তিনি জানায়, লঘুচাপ ছাড়াও দেশের এখনো মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply