ন্যাশনাল ডেস্ক: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে গুনে গুনে ১২ মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে জান্তা সরকারের সেনা সদস্যরা। আর এতে কেঁপে উঠেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ঘুমধুমের আশপাশের ১২টি পাড়া।
এমনটি জানিয়েছেন তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী বদি আলম, গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুল জাব্বার, রোহিঙ্গা আবদুস ছালাম, দক্ষিণ চাকঢালার ফরিদ আলম ও জাফর আলী।
তারা বলেন, রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে ১২টি মর্টার শেলের প্রকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে আশপাশের তুমব্রু, কোনারপাড়া, বাইশফাঁড়ি, তুমব্রু হেডম্যানপাড়া, ভাজাবুনিয়া, মধ্যমপাড়া, উত্তরপাড়া, বাজার পাড়া, গর্জনবুনিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকঢালা, সাপমারা ঝিরি ও জামছড়িসহ ১২ পাড়ার মানুষের।
ঘটনার সত্যতা জানতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন , কয়েক দিন বন্ধ থাকার পরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল পড়ার আতঙ্কে আছে সীমান্তের মানুষ। আমরা তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বারবার বলছি। কিন্তু তাদের বোঝানো যাচ্ছে না।
এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় মিয়ানমারের একটি যুদ্ধবিমান তুমব্রু শূন্যরেখা ঘেঁষে মিয়ানমার আকাশে উড়তে দেখেছে তুমব্রুসহ সীমান্তের বাসিন্দারা। তারা জানায়, রবিবার সারা দিন মিয়ানমারের ওপারের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে সীমান্তজুড়ে।
তুমব্রুর শূন্যরেখায় আশ্রিত একাধিক রোহিঙ্গা জানান, জান্তা সরকারের আর্মি ও জান্তা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে মিয়ানমার সীমান্তে। দুই বাহিনীই বর্তমানে দিশেহারা। তাই তাদের গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ছে বারবার। শুক্রবারের গোলার আঘাতে হতাহতের রাতটা ছিল তাদের কাছে ভয়াবহ একটি রাত। আর সে কারণে তুমব্রু শূন্যরেখায় আশ্রিত সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গারা এখন দিশেহারা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তায় বিজিবি সদস্যরা কাজ করছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে তৎপর আছে। স্থানীয়রা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সে ব্যাপারে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply