প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টির প্রভাবে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তা। বৃষ্টির পানি সঙ্গে পচা পানি মিশে ঢুকে পড়ছে বাড়ি-ঘরে। এতে সমস্যায় পড়েছেন অর্ধশতাধিক পানিবন্দী মানুষ। নোংরা পানি মাড়িয়ে স্কুল-কলেজ ও মসজিদে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শহিদুল ইসালামের বাড়ি থেকে আহাদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত বেহাল দশায় পড়ে আছে সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তা। সামন্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি চলাচলের পথ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন জমে থাকে পানি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোট এলেই মেয়র-কাউন্সিলররা তাদের খোঁজখবর নিতে আসে। ভোটের শেষে তাদের কেউ খোঁজ নেয় না। আশ্বাস দিতে দিতে ১৮ বছর পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত সংস্কার অথবা ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, আমরা এখানে প্রায় ১৫টি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ বসবাস করি। ১৮ বছরে আমাদের যাতায়তের রাস্তা বেহাল দশায় পড়ে আছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই মাসের পর মাস পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়। কাউন্সিলর এসে কয়েকবার পরিদর্শন করেছে অদৃশ্য কোন শক্তির কারণে এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে যাতায়ত করতে পারছে না। আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে হাতে জুতা নিয়ে পানি পার হয়ে যেতে হয়।
আরেক বাসিন্দা আহাদ আলী জানান, কিছু অসাধু ব্যাক্তির কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভার যে সকল সুযোগ-সুবিধা পৌরসভার নাগরিক হিসেবে পাওয়ার তা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পৌরসভার রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ পানি জমে এভাবে পড়ে আছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে হাঁটু সমান পানি হয়ে যায়।
আহাদ আলী আরও বলেন, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহমেদ নতুন কাউন্সিলর হয়েছে। তিনি আমাদের রাস্তার জন্য কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থকায় মাটি দিয়ে রাস্তুা উঁচু করার কারণে পানি সব রাস্তার উপর জমে থাকে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহমেদ জানান, কুখরালীর ভিতরে সাবেক কাউন্সিলর এর বাড়ি থেকে আহাদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত যে রাস্তাটি আছে। আমি পৌরসভা থেকে কিছু লেবার পাঠিয়েছিলাম পানি সরানোর জন্য। কিন্তু ইতিপূর্বে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন ওনার জমির সাইড দিয়ে ড্রেন কাটতে দিবেন না। আমি কথা বলে জানতে পারি ঐ এলাকার মানুষ নাকি ইতিপূর্বে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তাকে ভোট দেননি এইজন্য তার জমির সাইড দিয়ে পানি সরতে দিবেন না।
তিনি আরও জানান, আমাদের নিজস্ব ফান্ডে একটা কাজ হবে। সামনে আমি পৌরসভা থেকে একটা বরাদ্দ পাব। সেই কাজের আওতার মধ্যে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে দিব। পানি যাতে না জমতে পারে তার ব্যবস্থাও করবো।
Leave a Reply