সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শ্যামনগরে জমিজমা বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষক বড় ভাইকে মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগরের শংকরকাটি গোবিন্দপুরের মৃত সাত্তার গাজীর ছেণে সূর আলি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ৭৯ নং অন্তাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছি। আমার বসত ঘরের ছাদের পানি নামানোকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই আব্দুল হামিদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জেরে গত ১৬ জুন২২ তারিখে আমি একা বাড়িতে থাকার সুযোগে আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমার স্ত্রী সায়রা বেগম আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমার স্ত্রীর ডাকে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার নং- ৫২/২৫৫। উক্ত মামলায় পুলিশ আব্দুল হামিদকে কারাগারে পাঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হামিদের পরামর্শে মেঝ ভাই আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে তার পুত্র মনিরুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন ওরফে বাবু, রফিকুল শিমুল হোসেন, রহমত, আলাউদ্দীন, ইমন হোসেন ও ইমরান হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোকছেদ গাজী ও সুজনসহ ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী আমার দায়েরকৃত ৫২/২৫৫ নং মামলার স্বাক্ষী শরিফুল ইসলামের বাড়িতে ২৬ জুন২২ তারিখ রাত ৯টায় হামলা চালিয়ে স্বাক্ষী নুর মোহাম্মাদের বাড়িতে নিয়ে তাদের উভয়পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তাদের মারপিটে ২নং স্বাক্ষী গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। আমি দ্রুত ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-২/২৬৬। উক্ত মামলায় পুলিশ ১নং আসামী আব্দুস সোবহানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। ১ম মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১নং আসামী আব্দুল হামিদ ২২ দিন জেল খেটে এবং ২নং মামলার ১নং আসামী আব্দুস সোবহান ৩ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েই ওই দিন সন্ধ্যা একটি কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে তার স্ত্রীকে বাদী করে আমার দায়ের কৃত ২/২৬৬ নং মামলার আসামীদের স্বাক্ষী বানিয়ে এবং আমাকে সহ স্ত্রী ও পুত্রকে আসামী করে এ একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ১২/২৭৬। অথচ আমার পুত্র সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজের পাশেই একটি মেসে থাকে। ওই মামলায় যে ঘটনাস্থল বা সময় দেখানো হয়েছে সে সময় আমার পুত্র সাতক্ষীরার মেসেই ছিলো। এছাড়া সোবহানেরপুত্র মনিরুল ইসলাম এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা আমার দায়েরকৃত মামলাদুটি তুলে না নিলে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে। তাদের হুমকিতে আমি পরিবার নিয়ে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি আব্দুল হামিদগংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
Leave a Reply