1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত📰প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি📰হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস📰পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা📰সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন📰জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 📰সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা📰জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির📰দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক📰চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরিহ মানুষকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২
  • ১৯২ সংবাদটি পড়া হয়েছে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড আব্দুল বারী, আকবর আলী, সোহরাব আলী ও আব্দুল গফ্ফার তরফদারসহ জড়িতদের গ্রেফতার এবং নিরীহ মানুষের এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী টেংরাখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর স্ত্রী সাকিরুন নেছা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে গত ৮ জুলাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী ও বর্তমান ইউপি সদস্য আমার স্বামী আব্দুল হামিদ লাল্টু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কাদের শেখ ও আমির হোসেন নামের দুই জন নিহত হয়। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারী বাদী হয়ে গত ৯ জুলাই শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৩ জনকে এজহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো নিহত কাদের শেখ ও আব্দুল আজিজের মধ্যে ফ্যান মেরামতকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের উৎপত্তি। এ ঘটনাকে পুজি করে বারী তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লাঠি, সোটা, ইট, পাটকেল নিয়ে টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে ওই দিন অবস্থান নেন। আমার স্বামী হামিদ লাল্টুসহ তার লোকজন পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বারী ও তার সমর্থিতরা অতর্কিত হামলা করায় আমার স্বামীসহ তার পক্ষের ৯/১০ গুরুত্বর জখম হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী জখমীদের উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২৫/৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমার প্রতিবেশি পঙ্গু সুবহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ সময় কাদের শেখ মাথায় সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হন। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পরেই মারা গেছে বলে জানা যায়। মূলতঃ কাদের শেখ ইট ভাটার সরদার এবং বারীর ভাইও ভাটা সরদার এই দুজনের ভিতর ভাটায় লেবার নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এছাড়া কাদের শেখ জমি কিনবে বলে বারীর নিকট তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলো। এসব খবর নিহত কাদের শেখের মা, স্ত্রী, পুত্রদের দেওয়া যা সাংবাদীকদের কাছে ভিডিও চিত্র ও জবান বন্দী থেকে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ কাদের শেখের পরিবারের লোকজন মামলার বাদী না হয়ে বারী নিজে বাদী হয়ে সকল অপরাধের দায় আব্দুল হামিদ লাল্টু ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা আলী আজগর বুলুর উপরে চাপিয়ে দিয়ে থানায় এজহার দাখিল করেন। অপরদিকে, নিহত আমির হোসেন একজন এজমা রোগী ছিলেন। মারামারিতে তার পায়ে ইট লাগলে তিনি ভয়ে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার কারনে তার শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। এ সময় বারী ও তার লোকজন আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তাকে একটি এজমার ইনজেকশন দিতে বলেন। এ সময় তাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুটিই মৃত্যুই রহস্য জনক। আর এ ঘটনার পর পরই বারী, রমজাননগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ও সোহরাব হোসেন গোপন সভায় মিলিত হন। উক্ত সভায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আহতদের মধ্য থেকে ২/৩ জনকে মেরে ফেলার ছক তৈরী করা হয়। সে মোতাবেক এই দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এই ৪ জন একসাথে বার বার মিটিং করেছে যা এলাকার বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে বারী মামলা করেছেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। আর এ মামলার পর সিংহ ভাগ নিরীহ পুরুষ বাড়ী ছাড়া হওয়ার সুবাদে মহিলা ও শিশুদের উপর চরম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় এ দুটি হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটনের জোর দাবী জানান। একই সাথে তিনি এই হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড বারীসহ সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য গফ্ফার তরফদার ও সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবী জানান এবং বারীর দায়েরকৃত হয়রানী মামলা থেকে নিরাপরাধ মানুষদের মুক্তির জোর দাবী জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd