নিজস্ব সংবাদদাতা: একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওলেনাকে জড়িয়ে ধরে আছেন ভলোদিমির। পরনে টি–শার্ট আর প্যান্ট। এদিকে ওলেনার পরনে গাঢ় নীল রঙের হাতাওয়ালা হাই নেক টপ ও প্যান্ট। প্রায় দুই দশকের বিবাহিত সম্পর্কের নানা দিক ছাড়াও উঠে এসেছে যুদ্ধকালীন পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথাও। ৪৪ বছর বয়সী ওলেনা বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলো। সে (ভলোদিমির) সিদ্ধান্ত নিল কিছুতেই দেশ ছাড়বে না। আমি চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমি জানতাম, দ্রুত সবকিছু বদলে যাবে। আর সেই জটিল পরিবর্তন দীর্ঘসময় ধরে চলবে। আমি বুঝলাম, আমাদের শক্ত আর সাহসী হতে হবে। আমি আমাদের বিবাহিত সম্পর্কের সবচেয়ে জটিল সময়ে পা রাখলাম।’ এই সময় ভলোদিমির যোগ করেন, ‘ওলেনা আমার সারা জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সে একজন দেশপ্রেমিক। সে ইউক্রেনকে সত্যিই খুব ভালোবাসে। আর সে একজন দুর্দান্ত মা।’
ভোগের প্রচ্ছদে অত্যন্ত স্মার্ট স্টাইলিংয়ে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করলেন ওলেনা। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের ডিজাইনার বেটার, সিক্স, হভোয়া, দ্য কোট, কাচরভস্কা, পোস্তভিতের পোশাক বেছে নিয়েছেন তিনি। ছবিগুলো তুলেছেন অ্যানি লেইবোভিটজ। লিখেছেন র্যাচেল ডোনাডিও। আর স্টাইলিংয়ে ছিলেন জুলি পেলিপাস।
গতকাল এই ছবি আর সাক্ষাৎকার প্রকাশের পরই শুরু হয়েছে আরেক যুদ্ধ। তুমুল সেই যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। টুইটারের হ্যাশট্যাগে একের পর এক ভেসে উঠছে—‘ওয়্যার অ্যান্ড পোজ’, ‘পাবলিসিটি স্ট্যান্ট’, ‘পাওয়ার কাপল’, ‘ব্রেভ ওম্যান’, ‘রোমান্টিসাইজিং দ্য ওয়ার’, ‘ওয়েস্টিং মানি কনট্রিবিউটিং টু ইউক্রেন’—এ রকম মিশ্র প্রতিক্রিয়ামূলক শব্দ। একজন কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘ভালোই যুদ্ধ থেকে একটা বিরতি নিলেন। সেজেগুজে পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখালেন, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারগুলো খরচ করা হচ্ছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের নাগরিককে এর চেয়ে ভালোভাবে অসম্মান করা যেত না!’ ‘সবকিছুকে, এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকেও পুঁজিবাদী ফ্যাশন বানিয়ে ফেললেন!’
Leave a Reply