আশাশুনির পাইথালী টু কালিবাড়ি সড়ক যেন মরণ ফাঁদ!

বি এম আলাউদ্দীন: 

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী বাজার টু কালিবাড়ি বাজার সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্যস্ততম এ কার্পেটিং সড়কের কিছুদুর পরপর ১থেকে দেড় ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট-বড় যে কোন যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩ কিলোমিটার

কার্পেটিং এ সড়কের অধ্যেকের বেশি অংশের পিচ উঠে নিচের কাদা-মাটি উপরে উঠে যানবাহন চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। ভারি যানবাহন গর্তে ভেবে গিয়ে বিকল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়া জনদুর্ভোগ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোভনালীর কামালকাটি (শালখালী) ব্রীজ ভেঙে পড়ায় বেশির ভাগ সময় এ সড়কটি দিয়ে ভারী যাহবাহন চলাচল করে থাকে। বুধহাটা হয়ে কালিগঞ্জগামী বিভিন্ন ভারী যানবাহন সটকাট পথ হিসেবে এ রাস্তা বেছে নেয়। রাস্তার করুন অবস্থার পরেও প্রতিদিন ছোট-বড় সহস্রাধীক যানবাহন চলাচলের কারনে দিন দিন রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পাইথালী বাজার থেকে কালিবাড়িগামী রাস্তার হাফিজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির সন্নিকটে এবং শোভনালী ব্রীজের দক্ষিণ দিকে কালভার্টের পর থেকে বড় একটি অংশ জুড়ে একাধিক স্থানে গর্ত দেখে মেনে নিতে কষ্ট হবে এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। বৃহস্পতিবার বিকালে হাফিজুল ইসলামের বাড়ির সন্নকটে পাথর বোঝাই ডাম্পার ট্রাক ভেবে গিয়ে কয়েক ঘন্টা যানবাহন বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এঘটনার কিছুক্ষণ পরেই একটি পিকআপ ভ্যান আটকে থাকা ডাম্পারকে অতিক্রম করতে গিয়ে সেটিও আটকে আরও ঘন্টাখানেক সড়কটি সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ হয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের বক্তব্য এধরনের ঘটনা সপ্তাহে ১/২ বার ঘটে থাকে। পাশ্ববর্তী বিকল্প রাস্তা না থাকায় কয়েক ঘন্টা সকল যানবাহনকে দুদিকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, অতি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে এ সড়ক দিয়ে ছোট-বড় কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারবে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব সড়কের মারাত্মক ক্ষতিগ্ৰস্থ অংশ চাষ করে রোলার টেনে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *