Alyssa Carson: শরীরে বিশেষ জিন প্রবেশ করিয়ে মঙ্গল অভিযানে যাবেন কারসন! সত্যিই কি তাই?

অনলাইন ডেস্ক:এমন অনেক পোস্ট নজরে পড়ছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে মঙ্গল গ্রহে পা দিতে চলেছেন অ্যালিসা কারসন।বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়েছে, মঙ্গল গ্রহ অভিযানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন ২০ বছর বয়সি অ্যালিসা।এ-ও দাবি করা হচ্ছে যে, মঙ্গলে পৌঁছনোর পর তিনি আর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না। তিনিই না কি পৃথিবীর প্রথম মানুষ, যিনি মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বসবাস করবেন।অ্যালিসার ‘লাল গ্রহ’-এ পা রাখার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বাস্তবে তাঁকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, এই অভিযানে যাঁরা যাবেন, তাঁরা সকলেই আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়েই যাবেন। নাসা এমনই দাবি করেছে।এক ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘অ্যালিসা কোনও দিন বিয়ে করতে পারবেন না। কোনও দিন সন্তানের মুখও দেখতে পারবেন না তিনি। তিনি মঙ্গল গ্রহে অভিযানে যাওয়া প্রথম মানুষ হবেন, যিনি আর কখনও পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না।’নাসা ব্লুবেরি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যালিসা আমেরিকার বাসিন্দা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তার নভশ্চর হওয়ার এবং মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল।একাধিক ওয়েবসাইট এ-ও দাবি করেছে, অসংখ্য মহাকাশ ক্যাম্প এবং মহাকাশ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যালিসা।গুজব রটেছিল, অ্যালিসার মধ্যে বিশেষ কোনও জিন প্রবেশ করানো হচ্ছে যাতে তিনি মঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। যাতে তাঁর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এই দাবিও সর্বৈব মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি নাসার।আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে সংস্থার তরফে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা চললেও অ্যালিসা বলে কেউ সেই অভিযানের অংশ নন।নাসার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নাসার বিভিন্ন অভিযানে আগ্রহী পড়ুয়াদের শামিল করা হয়। কিন্তু অ্যালিসা নামক কোনও ২০ বছর বয়সি পড়ুয়া কোনও অভিযানে নেই বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।পাশাপাশি নাসার আগামী মঙ্গল অভিযানে কারা যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেও নাসার তরফে জানানো হয়েছে।নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এক জন মহাকাশচারী হওয়ার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন, তা অ্যালিসার নেই।অ্যালিসার বাবাও রয়টার্সকে একটি ইমেলে করে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্য মঙ্গল অভিযানে যাওয়া। আর তার জন্য মেয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা এবং পরিশ্রম করছেন। তবে আদৌ তাঁর মেয়েকে নাসার তরফে মঙ্গলে পাঠানো হবে কি না, তা তিনি জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।অ্যালিসার বাবা জানান, তাঁর মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হলে সে এক পায়ে যেতে রাজি। এমনকি, তাকে ফিরিয়ে না আনা হলেও সে যেতে রাজি বলে তিনি দাবি করেছেন।অ্যালিসার বিশ্বাস ছিল, তাঁকে মঙ্গল অভিযানে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনকি ২০১৮ সালে, টিন ভোগ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পরে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।তবে অ্যালিসার পরিবার মনে করছে, এখন যেতে না পারলেও ভবিষ্যতে ঠিক মঙ্গল অভিযানে যাবেন তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *