1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
২০ চৈত্র, ১৪৩১
Latest Posts
📰কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী স্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত📰আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার আত্মহত্যা📰জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের📰বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা📰সাতক্ষীরায় কাজী আহসান হাবিব সম্রাটের আয়োজনে পথচারীদের ইফতার বিতরণ📰সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ 📰সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা📰ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক সাতক্ষীরা পরিবহন কাউন্টারে মনিটারিং📰সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মাদ্রাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন📰চার গোলে ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করলো আর্জেন্টিনা

জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগতাড়িত মানুষের সংকট : নগরজীবনেও দারিদ্র্যের থাবা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২
  • ৩১৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে


নিজস্ব সংবাদ দাতা: জলাবায়ু পরিবর্তনের মুখে বারবার দুর্যোগতাড়িত হয়ে শ্যামনগরের পদ্মপুকুরের আলিমুদ্দিন ও তার পরিবার এখন বাস্তুহারা হয়ে বস্তিবাসীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। পৈত্রিক এক চিলতে জমি আর ছোট্ট একটি ঘর নিয়ে পাঁচটি মুখের খাবার যোগাতে আলিমুদ্দিনকে সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে যেতে হতো। কিন্তু ভয়াবহ আইলা তার বেঁচে থাকার সব স্বপ্নকে ধূলিস্যাত করে নিয়েছে সব সম্পদ। শুধু আলিমুদ্দিন নয়, এমন দুর্যোগের মুখে প্রাণ ও সম্পদ হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়া গাবুরার দরিদ্র মানুষগুলো তাদের কর্মসংস্থান হারিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তল্পিতল্পা নিয়ে সাতক্ষীরা ও খুলনা শহরে বস্তিতে আস্তানা গেড়েছে। এখন তাদের সামনে কোন স্বপ্ন নেই। শুধু দিন এনে দিন খাওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে তাদের। এই চিত্র সাতক্ষীরার বস্তিবাসীদের। যাদের সামান্য হলেও সম্পদ ছিল, কাজ ছিল। এখন তারা স্বর্বস্ব হারা। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার জীবন জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বৈশি^ক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দক্ষিণের বড় অংশ বারবার জলোচ্ছ্বাসের মুখে পড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় এই অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবার আশংকা মাথায় নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে এরই মধ্যে হয় দেশান্তরী হয়েছেন না হয় দেশের অন্য কোনো এলাকায় যেয়ে জীবন রক্ষার সংগ্রামে নেমেছেন। একইভাবে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ২০০৭ এর ভয়াল সিডরের দাপটে সাগরগর্ভে তলিয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন দুর্যোগ ঝুঁকি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের ধনী গরিব সব মানুষ। তবে ধনী মানুষ অর্থের জোরে বিকল্প খুঁজে নিতে পারলেও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ পড়ছে মহাসংকটে। এই সংকট উপকূল থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে নগরে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এদের বড় অংশই হয়ে উঠছে বস্তির মানুষ। তারা হারাচ্ছেন তাদের পেশা। নতুন পেশা খুঁজে পাওয়াও তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়ছে। লেখাপড়া জানা শিক্ষিত ছেলেরাও এখন শহরে রিকশার হ্যান্ডেল ধরেছে কিংবা দৈনিক ভাড়ার চুক্তিতে ইজিবাইক চালিয়ে জীবনধারণের চেষ্টা করছে।
নগর জনপদের বস্তিবাসী মানুষ সবচেয়ে বড় সংকটে পড়ে যে কোনো দুর্যোগ আঘাত হানলে। এমন আঘাত ১৯৮৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫টি। গত ১২ জুন ২০২২ তারিখে দৈনিক যুগান্তরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার কয়েকটি এলাকার বস্তিবাসী ৭২ শতাংশ তরুণী ও কিশোরীরা তাদের গোসল ও বাথরুম নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। বিশেষ করে পিরিয়ডকালীন তারা আরও সংকটে পড়ে। সব বয়সের নারী পুরুষের মুখোমুখি হয়ে তাদের সংকট আরও বেড়ে যায়। এজন্য প্রকৃতির কাজ সারতে তাদের রাত পর্যন্ত অনেককেই অপেক্ষা করতে হয়। এসব তরুণী ও কিশোরীরা অভিযোগ করে বলেন, খোলামেলা এবং আচ্ছাদন না থাকায় পাশ^বর্তী সুউচ্চ ভবনগুলি থেকে ছেলেরা মোবাইলে তাদের ভিডিও ধারণ করে এবং অনেক সময় ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে। এমন বিব্রতকর অবস্থা থেকে তারা কোনভাবে মুক্তি পাচ্ছেন না। সাতক্ষীরা জেলার হালনাগাদ জনগোষ্ঠী ২৫ লাখ পেরিয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার জনগোষ্ঠী দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ৩১.১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় বস্তি আছে ৪৭ টি। এর মধ্যে ১৫টি সরকারি ও কিছু ক্লাস্টার বস্তি রয়েছে। বিবিএস এর ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে, সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ৩৩ হাজার খানা রয়েছে। এর মধ্যে বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বস্তিবাসীদের খানার সংখ্যা কমবেশী ৮ হাজার। তারা সবাই বিভিন্ন সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নিজ নিজ এলাকা থেকে তাড়িত হয়ে এখানে সরকারি অথবা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে বসতি গড়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd