সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : কালিগঞ্জের কাকশিয়ালি গ্রামের হতদরিদ্র ভূমিহীন অমল ঘোষের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগী ভূমিহীন পরিবার অসহায়ত্ব বোধ করছে।
জানা গেছে, কয়েক দশক পূর্বে কাকশিয়ালী মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৬ শতক জমির উপর ঘর বানিয়ে বসবাস করেন শিবু ঘোষের ছেলে হতদরিদ্র ভূমিহীন অমল ঘোষ। তাদের কোলজুড়ে একটি ছেলে সন্থান জম্মলাভ করে। ওই ছেলের নাম রাখেন রাকেষ ঘোষ। এবং কয়েক বছর পরে অমল জানতে পারে রাকেষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সেই জম্মের পর থেকে রাকেষ ওই জমিতে বাবার তৈরি করা নির্মাণাধীন ঘরে বসবাস করে আসছে। মুজিব শত বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিলে অমল ঘোষও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই ঘর পেতে আবেদন করেছিল। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা বিরোধীতা করায় ওই ঘর আর অমলের কপালে জুটেনি। সম্প্রতি অমল ঘোষের নির্মাণাধীন বসবাসকৃত আবাস থেকে উচ্ছেদ করে ওই সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণের পায়তারা করছে একই গ্রামের প্রশান্ত ঘোষরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন হতদরিদ্র ভূমিহীন অমল ঘোষ। তার একটি ছেলে আছে রাকেষ ঘোষ (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী)। কোনো রকমে চলাচল করতে পারে। ওই অমলদের বসবাসকৃত ঘর থেকে উচ্ছেদপূর্বক জমি দখলে নিয়ে গত ২/৩ দিন ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে প্রশান্ত ঘোষরা। আমরা বাঁধা দিলেও প্রশান্ত ঘোষরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ তারা যেন রাকেষ ঘোষকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ না করে বসবাসের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়।
ভুক্তভোগী অমল ঘোষ জানান, আমার বয়স হয়েছে। তার উপর প্রতিবন্ধী ছেলেটা নিয়ে কোনো রকমে ওই জমিতে ঘর বানিয়ে বসবাসপূর্বক সংসার পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। আমার বাবারা কয়েক দশক পূর্বে ওই জায়গায় ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই বসবাসকৃত ঘর এখন উচ্ছেদের পায়তারা করছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিদের কবল থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেতে জেলা প্রশাসক সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত প্রশান্ত ঘোষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।
কালিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আসলে ওই দাগে ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি বাস্তবে কতটুকু আছে তা আমাদের নেই জানা। কিন্তু ওই জমি প্রশান্ত ঘোষরা দখলে রাখার চেষ্টা চলমান রেখেছে। আমাদের ইউএনও স্যার ওই জমি মাপ-জরিপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আজ রবিবার জমি মাপ-জরিপ হবে। এরপর ওই জমি চিহ্নিতপূর্বক হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্টনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, অমল ঘোষ তালিকাভুক্ত ভূমিহীন। আমাদের কাছে তার নাম রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেতে সেও একটি আবেদন করেছিল। ওই জায়গায় ঘর বানিয়ে ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন হলেও অমল ঘোষও পাওয়ার যোগ্য।
Leave a Reply