1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প📰প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব📰জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের📰জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা📰আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত📰প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত📰সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ📰জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?📰বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল📰জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

‘বাঙালির স্বশাসনের অধিকারের সূচনা ৩ মার্চ’

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২
  • ১২৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা হয়েছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা। এজন্য ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে বক্তারা বলেন, ৩ মার্চ দিনটি ঐতিহাসিকভাবে বাঙালির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্য দিন। 

বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ঘোষণা দিবস উপলক্ষে ‘৩ মার্চ: স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপ’ শীর্ষক এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক।  

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ৩ মার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েও যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হলো না, ষড়যন্ত্র করে পার্লামেন্ট অধিবেশন অনিশ্চিত করে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু হলো এবং একের পর এক নীলনকশার জাল বুনতে থাকে পশ্চিমা শাসকরা- তখন ৩ মার্চ পল্টনে জনসভার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ আয়োজিত ওই সভায় বঙ্গন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়। 

তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বের অধিকার নিয়ে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বশাসনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। কারণ তিনি তখন বুঝে যান পূর্ব বাংলার অধিকার আদায়ে স্বাধীনতার বিকল্প নেই। এজন্য স্বশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। ডাক দেন অসহযোগ আন্দোলনের। 

ডা. এস এ মালেক বলেন, এই আন্দোলন ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রকে অস্বীকৃতির আন্দোলন। সরকার গঠনে বাধা পেয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের যে অধিকার তা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ট্যাক্স, খাজনা, অফিস আদালত, পরিবহন, শিল্প কলকারখানা সবকিছু বন্ধের ঘোষণা দিলে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে তার ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেন, পাকিস্তান আমলে ২৩ বছর আমরা বাঙালিরা শাসন ক্ষমতায় ছিলাম না। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা করেন। অফিস, পরিবহন, কলকারখানা বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বশাসনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে বাঙালির নেতৃত্ব। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবগুলো ঘোষণা করেছেন জনসভায়, জনগণের মাঝে এসে। কোনো সংবাদ সম্মেলনে নয়। এটিই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, পাকিস্তান আমলে ২৩ বছরের আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগের ফসল স্বাধীনতা অর্জন। এগুলো আমাদের গৌরবের ইতিহাস যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক বলেন, খাজনা ও ট্যাক্স বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়া শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্য দিয়ে স্বশাসনের দিকে যাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমান। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র পূর্ব বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহমুদ হাসান রুবেলের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার উপ-কমিটির সদস্য দৃষ্টি প্রামানিক। কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন মো. আজিবুর রহমান রাজিব।

 প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টনে এক সমাবেশে পাঠ করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার। দেশের নাম, পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় স্লোগান ঠিক করা হয় সেখানে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd