কৃষ্ণ ব্যানার্জী: সুবিচারের দাবীতে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম। বুধবার বিকালে আশাশুনি প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে, কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল গ্রামের নজরুল ইসলাম খাঁ’র ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও খুলনার দেশ সংযোগ পত্রিকায় কর্মরত আছি। গত ১৩ মার্চ-২২ তিনি তার শালি সুরাইয়া খাতুনের এসএসসি পরীক্ষার মার্কসিট আনতে চাম্পাফুল আঃ প্রঃ চঃ মাধ্যমিক স্কুলে গমন করেন। তখন অভিযুক্ত অফিস সহকারী ইয়াছিন আলি বিদ্যুৎ মার্কসিটের জন্য ৩০০ টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিয়ে জানতে চান কিসের জন্য টাকা নিলেন এবং এই টাকার কোন রশিদ পাবো কিনা? এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে কতিপয় কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী কোনো কারন ছাড়াই আমার উপর ন্যাককার জনক বর্বাচিত হামলার ঘটনা ঘটায়। এসময় আমাকে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠালে, আমি সামান্য সুস্থ্য হয়ে আশাশুনি থানায় (বিতর্কিত) প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম, সহকারী শিক্ষক আবু হাসান, অফিস সহকারী আব্দুস সবুর ও অফিস সহকারী ইয়াছিন আলী বিদ্যুৎ, সহ আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ও কিছু স্বার্থনেশী মহল, শিক্ষকদের অনিয়ম ও দূর্নীতির সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে (১৬ মার্চ) কোমলমতী ছাত্রছাত্রীদের প্রখর রৌদ্রে দাড় করিয়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কোমলমতী শিশুদের নিয়ে মানববন্ধন করায় স্থানীয় প্রশাসন সহ অত্র এলাকার সুধী সমাজকে বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলিয়েছে। শিক্ষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোদাড়া গ্রামের নজরুল গাইনের ছেলে ফরহাদ হোসেন নয়ন একজন চাঁদাবাজ। সে প্রশাসনের চোখে অপরাধী হওয়ায়, স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দিয়েছে। এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানের ঐ সকল শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন সময় সরল সহজ নিরীহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানী ও লাঞ্চিত করার ঘটনা অহরত ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি কর্তৃক এসকল বিষয়ে কোনো প্রতিকার না করে বরং উল্টো তাদের সোকাচ, বেতন ভাতা ইত্যাদি বিষয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি মহামান্য হাইকোর্টের বিধি নিষেধ ও সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বহাল তবিয়াদে অনিয়মের পাহাড় গড়ছেন। এমতাবস্তায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক লাঞ্চিত ঘটনায় মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে আমিরুল ইসলামকে এবং আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আসামী পক্ষ। তিনি আরও বলেন, মামলা দায়ের এর ফলে যদি পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়, তবে আগামীতে আর কোন থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হবে না। এদিকে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তারা পুনরায় আমাকে (বাদী) হয়রানি করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে উদ্দেশ্য মূলক মানববন্ধনের নেতৃত্ব দানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম।
Leave a Reply